মোঃ আবু বকর সিদ্দিকঃ
কুমিল্লা নগরীর সংরাইশে গোমতী নদীর বেরিবাধেঁর ওপর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ২ জন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ১৭ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার হত্যা মামলার এজাহার নামনীয় ৩ নং আসামি সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নং আসামি সাজন (৩২) বলে জানা যায়। নিহত সাব্বির হোসেন সুজানগরের পানির ট্যাঙ্কির পাশে রফিক মিয়ার ছেলে ও নিহত সাজন সংরাইস এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত অনুমান সোয়া বারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই নুরুল আলম দুইজন কে আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। সাংবাদিকরা জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক কামরুল মিল্লাত এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে হসপিটাল পরিচালক এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি। তবে হসপিটালের জরুরি বিভাগের নিবন্ধন খাতায় দুইজন অজ্ঞাত পুরুষের পাশে সাব্বির হোসেন ও সাজনের নাম লেখা রয়েছে। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহার হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিদের তালিকা থেকে নিহতরা ৩নং ও ৫নং আসামি বলে সনাক্ত করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাত অনুমান সোয়া বারোটায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সংরাইশ এবং নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে। সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। রাত অনুমান পৌনে একটায় থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ কোতোয়ালির বালুমহল সংলগ্ন সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাধঁ এলাকায় পৌছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করি এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। ফলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সবাই পালিয়ে যায় এবং দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে পুলিশের তিন জন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহিত ১ টি ৭.৬৫ পিস্তল, ১ টি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহিত গুলি, গুলির খোসা ও কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সরকারি কাজে বাঁধা, হত্যা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম বলেন, সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তবে আহতদের নাম ঠিকানা পরিচয় তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/৩০ নভেম্বর ২০২১/আর এম
