ইমরান নাজির, শিবালয়:
শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবিরের বিশেষ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন শতবর্ষী গাছের গোড়া, পুকুরের পার ঘেঁষা তৈরি পায়ে চলা পথ, পুকুরের পাকা ঘাটলা শানবাঁধানো, নারী-শিশু হেল্প ডেস্ক ভবন তৈরীসহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। সুসজ্জিত এমন দৃশ্যপট দেখা মেলে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায়।গত কয়েক মাসে তৈরী হওয়া এসকল স্থাপনা থানা ভবনের অভ্যন্তরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে পরিবেশ উন্নয়নেও সহায়ক হয়েছে। থানা কম্পাউন্ডে থাকা বড় পুকুর থেকে পার্শ্ববর্তী লোকজন পাইপযোগে পানি নিয়ে ও গোসল করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ইতোপূর্বে থানা ভবন চত্বরে একটি গোলঘর নির্মিত। তারপর বিভিন্ন সময় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উদ্যোগে গেইটের সংস্কার, গাছের গোড়া পাকা করা হয়। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে বর্তমান ওসি ফিরোজ কবির থানা কার্যালয় অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করায় গোটা পরিবেশের পরিবর্তন হয়েছে। তিনি সরকারি বাসভবনের সামনের রাস্তা পাকাকরণ ও গেট নির্মাণ, টহল ডিউটির জন্য একটি পিক-আপ গাড়ী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষে টাইস ও সম্প্রসারণ, নারী-শিশু সহায়তা কক্ষ, গাড়ী ও মোটর সাইকেল গ্যারেজ, পুকুরের চারপাশে হাঁটার রাস্তা তৈরীসহ ইত্যাদি নির্মাণ করেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে শিবালয় থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি থানার সৌন্দর্য বর্ধনে মনোনিবেশন করেন।আইজিপি ব্যাচ প্রাপ্ত গোল্ডমেডেলিস্ট অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ কবির আলোকিত প্রতিদিনকে জানান, থানার অভ্যন্তরে কিছু স্থাপনা নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রখ্যাত মার্কিন এমিলি ডিকিনসন বলেছিলেন, সৌন্দর্যের কোন কারণ হয় না। সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সত্যিই কোন কারণের প্রয়োজন নেই, সুন্দর মন থাকলে যেকোন পরিস্থিতিতেই সৌন্দর্য প্রকাশ করা যায়।
আতারা // এপি