জি এম রাশেদুল ইসলাম
কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সংঘাতের ঘটনায় ইউপিজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টির পাশাপাশি পরাজিত প্রার্থীর সাংবাদিক সম্মেলন ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউপির ৬ বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান এবং ২৮ নভেম্বর-২০২১ইং অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপের নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে পরাজিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। জেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন- বিগত ছয় ছয়বারের আমি নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান। এবারের নির্বাচনে আমি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সম্মানিত ভোটারদের রায় মেনে নিয়েছি। ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে আমি ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত আমার মালামাল বই প্রস্তুক নেয়ার জন্য ৩০ নভেম্বর-২০২১ইং সকাল আনুমানিক ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদে যাই এবং আধাঘণ্টার মধ্যে কাজ শেষ করে পরিষদের মূল ফটকে চলে আসি। এ সময় পূর্ব থেকেই মৃত আসমত উল্যার পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৪৮), মৃত- মকবুল হোসেনের পুত্র রফিকুল ইসলাম, মৃত- ফজলুল হক এর পুত্র এম.এ নাসির (৫৫), আলী হোসেনের পুত্র রফিকুল ইসলাম (৪০), মৃত- বাছুদ্দির পুত্র আনসার আলী (৫৫), কাদের বকস এর পুত্র মতিয়ার রহমান (৫৮) এরা সুভারকুটি এলাকার এবং হেমের কুটি গ্রামের মো. আলেফ উদ্দিনের পুত্র এরশাদ মিয়াসহ (৪০) ১৫/২০ জনের একটি দল হাতে লাঠিসোটা, দা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে আমার পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমি বাধা দিলে তারা আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমার কলার ধরে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। এতে আমি আহত হই। এ সময় সুভারকুটি হাজুদ্দির পুত্র ইসলাম (২৮) আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তারা তাকেও মারপিট করে প্যান্টের পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমাদের উভয়কে রক্ষায় ছালামের স্ত্রী আম্বিয়া (৩০), নুরনবীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০) এগিয়ে এলে ওই দলভুক্ত সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও মারপিটের পাশাপাশি শ্লীলতাহানী ঘটায়। তিনি আরো বলেন- বর্তমানে তার কর্মী, সমর্থকরা আতঙ্কে রয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী লাঙ্গল প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করছে। আমাদের লোকজনের বাড়িঘরে ঢিল ছোড়া হচ্ছে। অন্যায়ভাবে আমার পক্ষের কর্মী, সমর্থক ও স্বাক্ষীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। হলোখানা ইউনিয়নের আলহাজ উমর ফারুখ সাংবাদিক সম্মেলনে করে তার বক্তব্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তির দাবি করেন।