প্রতিনিধি,মেহেরপুর
মেহেরপুর মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারের গাফলতিতে নবজাতকের প্রাণ গেছে বলে অভিযোগ শিশুর বাবার। শিশুটি মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের মো. মাসুম মিয়ার সন্তান। বুধবার মেহেরপুর মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারেসস এ ঘটনা ঘটে। মো. মাসুম মিয়া অভিযোগ করে জানান, তার স্ত্রী মোছাম্মদ কাকলী খাতুন বুধবার দুপুর বারোটার দিকে মেহেরপুর হাসপাতাল সংলগ্ন মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসোনা করান। এসময় ডাক্তার মো. আক্তার হোসেন আলট্রাসোনা রিপোর্টে তার নবাগত সন্তানের ওজন ২ কেজি ৮০০ গ্রাম এবং সুস্থ আছে বলে জানান।সেই সাথে রিপোর্টে সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেন। পরবর্তীতে মাসুম মিয়া মডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দালালদের প্ররোচনায় সিজার করতে মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার স্ত্রীক ভর্তি করেন। ঐদিনই বেলা পাঁচটার সময় ডাক্তার পারভীনা আক্তার সিজার করান। এসময় এনেসথেসিয়া ডাক্তার হিসেবে ছিলেন মো. মেহেদী হাসান। মো. মাসুম মিয়া আরও অভিযোগ করেন-কাকলি খাতুনের অপারেশনের পর বাচ্চার ওজন পাওয়া যায় ২কেজী ২০০ গ্রাম এবং বাচ্চাটি অপুষ্ট। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার সাথে সাথে বাচ্চার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তার পারভীনা আক্তার শিশুটিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে।পরে শিশুটিকে বলভপুর মিশন হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।এই বিষয়ে ডাক্তার আখতার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, শতভাগ সঠিক রিপোর্ট কেউ দিতে পারে না ।এই ধরনের ভুল মেহেরপুরে অহরহ হয় এবং ১ কেজি ওজন পর্যন্ত ভুল রিপোর্ট হয়। তাছাড়া আমি অপারেশনের ডেট ২৫ তারিখে দিয়েছি । কিন্তু তারা এত আগে অপারেশন করল কেন বুঝতে পাছি না। যে ডাক্তার এই অপারেশন করেছে প্রকৃত পক্ষে তিনিই দায়ী। এ বিষয়ে ডা. পারভীনা আক্তারকে মোবাইলে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।