আবু সায়েম
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জের নেতৃত্বে উখিয়ার ঘোনার নাপিতের ঘোনার চৌধুরী খামারের রহমত উল্লাহর বাড়ি থেকে ২ টি মায়া হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩ ডিসেম্বর রাতে বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মায়া হরিণ উদ্ধার করা হয়। বন বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, স্থানীয় রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মায়া হরিণ ২টি পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করছিলো।পরবর্তীতে রামু থানা পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় মায়া হরিণ দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার জাহান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মায়া হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সেইব দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাঘখালীর বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও রামু থানার সদস্যবৃন্দ। রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুসারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে মায়া হরিণ দুটি রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে এসে ডুলাজাহারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন,বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণে আমরা সজাগ ও সতর্ক রয়েছি।মায়া হরিণ হচ্ছে বনের।বনের হরিণ পালন কারো অধিকার নেই। কোন ব্যক্তি বনের হরিণ পালন করলে তা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। কক্সবাজারে জনগণের নিকট আমার অনুরোধ, কোন ব্যক্তি যাতে বন্যপ্রাণী লালন-পালন তথা শিকার না করে। যদি কোন ব্যক্তি এ ধরণের কাজে জড়িত থাকে তাহলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণে বনবিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল সহ নানা ধরণের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আতারা //এপি