প্রতিনিধি,বরগুনা
বরগুনা পৌরসভা আরশিনগর চরকলোনী এলাকার সাইদুর রহমান ওরফে সাইদ কাজী-এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। বরগুনা পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োজিত থাকলেও তিনি সমগ্র বরগুনা জেলার বিবাহ সম্পন্ন করান। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে গভীর রাতে নিজ অফিসে কিংবা পাত্র বা পাত্রীর বাড়িতে গিয়েও বিবাহ সম্পন্ন করেন।একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া অভিযোগে জানা যায়, তিনি বিবাহ রেজিস্ট্রি করাতে পাত্র বা পাত্রীদের পূর্ণাঙ্গ বয়স না হলেও সুকৌশলে মোটা টাকার বিনিময়ে যেকোন বিয়ে করিয়ে দেন।গত ৩ ডিসেম্বর একজন গণমাধ্যমকর্মী সাইদুরের কাছে ২০১৯ সনের একটি বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য চান। পরে তিনি ওই গণমাধ্যমকর্মীকে এড়িয়ে চলেন বিভিন্নভাবে। সাংবাদিকরা ৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তার বাসায় গেলে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি আজ অফিস খুলতে পারব না। পরে সাংবাদিকরা বলেন, অফিসিয়াল তথ্য না দিলেও আপনি ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বলে দিন যে, ২০১৯ সালে ঐ পাত্র-পাত্রীর বিবাহ আপনি করান নি অথবা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে বিবাহ হয়েছিল কিন্তু আপনি কোন রেজেস্ট্রি করেন নাই।
এসময় গণমাধ্যমকর্মী মোবাইল ফোন বের করতে গেলেই কাজি সাইদুর রহমান অশ্লীল গালিগালাজ করে এনিয়ে ফারদার কথা বললে চাঁদাবাজির মামলা দিবেন বলে হুমকি দেন। তিনি নিজে একজন আইনজীবী বলে বিভিন্ন মামলার হুমকি দেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বরগুনাব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। তিনি বরগুনা আইনজীবী সমিতির সদস্য না হয়ে আইনজীবী পরিচয় দেওয়ায় অনেক আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । মুখের অশ্লীলতার জন্য অনেকে তার লাইসেন্স বাতিলেরও দাবী জানান।এব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মী কেটিভি প্রতিদিন বরগুনা প্রতিনিধি মাহমুদ হাসান তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসে কাজির নিকট থেকে সঠিকভাবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংবাদ তৈরী করার একজন গণমাধ্যমকর্মীর নৈতিক অধিকার রয়েছে। ২০১৯ সালের একটি বিয়ে নিয়ে জটিলতা পাওয়ায় আমি কাজির মাধ্যমে সঠিক বিষয় তুলে আনতে তার কাছে অনেক ঘোরাঘুরির পর না পেয়ে তাকে অনুরোধ করলাম আপনি এ বিষয়ে আমাকে ভিডিও সাক্ষাৎকার দিলেও বিষয়টির একটি সত্যতা প্রকাশ পাবে। তিনি গণমাধ্যমের নিকট সাক্ষাৎকার না দিয়ে হুমকি, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও চাঁদাবাজী এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ও জিহ্বা কেটে দেয়ার হুমকি দেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এব্যাপারে কাজি সাইদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।এব্যাপারে কাজি সাইদুর রহমানের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি ও নিরাপত্তার জন্য ঐ প্রতিবেদক বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। ডাইরি নং ১৪১- ৪/১২/২০২১