প্রতিনিধি ,মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে আলু চাষিদের স্বপ্ন ডুবে গেছে। অনেক কৃষক আলুর বীজগুলোকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে জমি থেকে তুলে রাখছেন। চাষিরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে যারা আলুর বীজ রোপণ করেছিলেন, তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন। এ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার আলু চাষী এখন বিপদগ্রস্থ ।টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে তাদের স্বপ্ন। লগ্নি করে এবং সুদে টাকা এনে আলু ফসল রোপণ করেছেন অনেক কৃষকরা। সেই আলু এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায় , এবার ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠি হয়েছে । সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বেশিভাগ জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে, এখনো বৃষ্টি হচ্ছে , বৃষ্টি থামলে কৃষকরা তাদের আলু জমি থেকে পানি সেচের মেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন করবে ।
উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আলু চাষী জাকির হোসেন বাবু বলেন , এবার আমি সাড়ে ৯ হেক্টর জমিতে আলুর বীজ লাগিয়েছি। সার, শ্রমিক খরচ ও জমি চাষ খরচসহ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।বৃষ্টির পানিতে আমার সব জমিই জলাবদ্ধতা সৃষ্ঠি হয়েছে। লাভের আশায় লগ্নি করে এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার এনে আলু চাষ করেছিলাম, বৃষ্টি আমার সব কিছু শেষ করে দিল । উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানান,‘নিন্মচাপ এবং অসময়ে বৃষ্টির কারণে সিরাজদিখানে আলু চাষীদের ক্ষতি হয়েছে, তবে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সিরাজদিখানে আলু বপন শুরু হয়েছিল । যে সকল জমিতে আলুর গাছ বা লতাপাতা গজিয়েছে সেই জমিতে ক্ষতি হওয়ার পরিমাণ কম। আর যে সকল জমিতে সপ্তাহখানের মধ্যে লাগিয়েছে তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি । তাছাড়া তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য আমাদের কৃষি অফিসের অনেক লোক কাজ করছে ।
আতারা // এপি