আ স ম আল আমিন
ব্যক্তিগত,পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মাশওয়ারা বা পরামর্শের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শের মাধ্যমে ঐক্য ও পারস্পরিক ভালোবাসা সুদৃঢ় হয়।পরামর্শ করে কাজ করলে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। এ জন্য ইসলাম পরামর্শের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সম্মিলিত চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণের কারণে সহজ ও উত্তম সমাধান বেরিয়ে আসে।
একবার রাসুলকে (স.) প্রশ্ন করা হলো-যদি আমরা কোন বিষয়ে কোরআন এবং হাদীসের ফয়সালা না পাই সে ক্ষেত্রে কী করবো? জওয়াবে রাসুল (স.) বললেন, এরকম হলে পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে কর্তব্য স্থির করবে ; কারও একক মতে ফয়সালা করবে না।
হযরত ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি কোন কাজের ইচ্ছা করে তাতে পরামর্শ গ্রহণ করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সঠিক বিষয়ের দিকে হেদায়াত করবেন। অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যতদিন পর্যন্ত তোমাদের শাসকবর্গ তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি হবে, তোমাদের বিত্তশালীরা দানশীল হবে এবং তোমাদের কাজকর্ম পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সম্পন্ন হবে- ততদিন জমিনে তোমাদের বসবাস করা অর্থ্যাৎ জীবিত থাকা ভাল।
পক্ষান্তরে যখন তোমাদের শাসকবর্গ তোমাদের মন্দ ব্যক্তি হবে, তোমাদের বিত্তশালীরা কৃপন হবে, তোমাদের কাজকর্ম নারীদের হাতে ন্যস্ত হবে; তারা যেভাবে ইচ্ছা কাজ করবে, তখন তোমাদের বসবাসের জন্যে ভূপৃষ্ঠ অপেক্ষা ভূগর্ভই শ্রেয় হবে। অর্থাৎ বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই উত্তম হবে। ( তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন- ১২২০)।
আতারা // এপি