আবু সায়েম
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেছেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি রক্ষায় সচেতন হয়ে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। বন্যহাতিকে কোন মতেই আক্রমণ করা যাবে না।বন্যহাতি সংরক্ষণে এলাকাবাসীকে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। ‘হাতি করলে সংরক্ষণ রক্ষা হবে সবুজবন’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মঙ্গলবার ( ৭ ডিসেম্বর) ঈদগাঁও রেঞ্জের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানুষ – হাতি সংঘাত নিরসন শীর্ষক জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় এ আহ্বান করেন তিনি।
ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁনের শুভেচ্ছা বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন। সভাপতির বক্তব্যে রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন,সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখল করে লেবু চাষ বা অন্যান্য বাগান করা হলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।রিজার্ভ ফরেস্ট মানে হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চল জবরদখল বা সেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। বন্যপ্রাণী কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে অথবা কোন ব্যক্তির ফসল নষ্ট করলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি রক্ষায় তিনি এলাকাবাসীকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার আরও বলেন,বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্য প্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্য হাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্য প্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তবু যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন- সহকারী বনসংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায়,ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক ড. শফিকুর রহমান,বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রাহাত হোসেন,ইসলামাবাদের চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক। সভায় ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, বাঘঁখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান,মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমানসহ ঈদগাঁও রেঞ্জের ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ, উপকারভোগী ভিলেজার,হেডম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আতারা // এপি