কক্সবাজারে হাতি ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত  

0
304

আবু সায়েম 

কক্সবাজার  উত্তর  বন বিভাগের আওতাধীন  ঈদগাঁও  রেঞ্জের ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্তৃক আয়োজিত   কক্সবাজার  উত্তর  বন বিভাগের  সহযোগিতায় শুক্রবার ( ১০ ডিসেম্বর)    ‘বন্য হাতি ও বন্যপ্রাণী   প্রকৃতির অংশ,আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো আগামী প্রজন্মের জন্য’ এবং ‘হাতি করলে সংরক্ষণ রক্ষা হবে সবুজবন’ এই  প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোকে সামনে রেখে   ‘মানুষ  – হাতি সংঘাত’ নিরসন    শীর্ষক  বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও বনজসম্পদ রক্ষাকল্প এবং হাতিও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন খাঁনের  সভাপতিত্বে ঈদগাঁও রেঞ্জ কার্যালয়ে জনসচেতনতামূলক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনসহ বন বিভাগের কর্মীগণ বক্তব্য পেশ করেন। সভায় ঈদগাঁও  রেঞ্জের দেড়শতাধিক নারী-পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ, বন বিভাগের ফরেস্টার,বিটকর্মকর্তা  হ্যাডম্যানসহ  ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। জনসচেতনতামূলক  সভায় বক্তারা ‘বন্যপ্রাণী প্রকৃতির অংশ, আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাবো আগামী প্রজন্মের জন্য’ এবং ‘হাতি করলে সংরক্ষণ রক্ষা হবে সবুজবন’এ প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোকে  সামনে রেখে মানুষ  হাতি সংঘাত নিরসনসহ বন্যপ্রাণী  সংরক্ষণ এবং হাতি ও বন্য প্রাণীর আবাসস্থল নিশ্চিত করণে  এলাকাবাসীকে এগিয়ে  আসার  আহ্বান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ঈদগাঁও  রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন খাঁন   বলেন,  বন্যপ্রাণী  ও বন্যহাতি সংরক্ষণ  আমাদের  নৈতিক দায়িত্ব । নির্বিচারে বন্যপ্রাণী  হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্য হাতিদের  আঘাত করে   নিধন  করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব  ফেলবে। বন্যহাতি ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নিশ্চিতকরণে হাতি চলাচলে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। হাতির আবাসস্থল নিশ্চিতকরণে হাতির চলাচলে করিডর সৃষ্টি করে দিতে হবে। হাতি যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য বন বিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীকে সচেতন ও আন্তরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন,  সামাজিকভাবে  সচেতন হয়ে  মানুষ  ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী এবং হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে  এসে বনজসম্পদ রক্ষার্থে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ  জানিয়ে তিনি বলেন,তবু যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়।

বন্যহাতি কর্তৃক কারো প্রাণহানি ঘটলে অথবা  কারো ফসল নষ্ট করলে  বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যহাতি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে সচেতন হয়ে তাৎপর্য পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

আতারা // এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here