প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শাহানুর আলম ও ভুয়া সভাপতি আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে থেকে শাহানুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে সভাপতি দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া ও সভাপতি আঃ রহমান মিয়ার অজান্তে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও
কর্মচারী নিয়োগ দেন। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহমান মিয়া চলতি বছরের জুন মাসে শাহানুর আলম ও আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলা করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হওয়ার পর সোমবার ১৩ ডিসেম্বর অভিযুক্ত সহকারী সুপার শাহানুর আলম ও ভুয়া সভাপতি আব্দুল খালেক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট সুমন আলী এ আদেশ দেন। শাহানুর আলম ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর ঘুঘুরহাট গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে ও আব্দুল খালেক দাশিয়ারছড়া এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই ২০১৫ সালে দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এটি সরকারি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী বৈধ নিয়োগে কর্মরত আছেন বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। তবে শিক্ষক কর্মচারীরা এখন ও মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) পাননি। এ প্রসঙ্গে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১/ দ ম দ