প্রতিনিধি,ফরিদপুর:
লেট্রিন থেকে বের হওয়ার সময় জোড় করে ধরে নিয়ে ধর্ষন,বিচার চাইতে গেলে প্রান নাশের হুমকী, তথ্য উৎঘাটনের চেষ্ঠা করায় সাংবাদিককে মিথ্যে মামলায় হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে সাংবাদিকরা এ ঘটনার তদন্তে গিয়ে জানা যায় নানান তথ্য। এ বিষয়ে ধর্ষনের স্বীকার কনা আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিকদের বরাবর। ভিযোগকারী কনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান , আমাকে জোড় করে ধর্ষন করছে। আমি ঘটনার বিবরন উল্লেখ করে নারী ও শিশু দমন আইনে গত ১৯/১০/২০২১ইং তারিখে একটি মামলা করেছি । মামলা নং : ৪৫।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ৩/৭/২০১৯ ইং তারিখে রাত সাড়ে আটটার সময় কনা আক্তার প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার জন্য লেট্রিনে যায়।লেট্রিন থেকে বের হইলে পূর্ব থেকে উঁৎ পেতে থাকা নয়ন মিয়া ঝাপটাইয়া মুখ চেপে ধরে এবং হেচড়াইতে হেচরাইতে তাহার বাড়ি সংলগ্ন মহিনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ফাকা ঘড়ে চিৎ করিয়া শোয়াইয়া কনা আক্তারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এবং জোড় পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে।এক পার্যায়ে যখন মুখ থেকে হাত সরিয়ে নেয় তখন চিৎকার দিলে সকলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এ বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভিকটিমে ধর্ষন ও বয়স নির্ধারনী ডাক্তারী পরীক্ষার সনদপত্রসহ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে থানায় জমা দিয়ে চার্জ অফিসার্স ইং ১৯/১০/২০১৯ তারিখ রাত্রি ২২.১০ ঘটিকায় মামলা রুজু করেন।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিপার্টমেন্ট অব ফরেনসিক ম্যাডিসিন বিভাগে গত ৫/৮/২০১৯ ইং তারিখে দেওয়া রিপোর্টে ধর্ষনের ঘটনা সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ষন মামলার বাদী হয়েছিলেন ফরিদা বেগম ।
জানাযায়, ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মোঃ ফিরোজ (৪৫) সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য কালেকশন করছিলো। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে সাংবাদিককে হুমকী প্রদান করে ফরিদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আমির হোসেন মাসুদ। সংবাদিক তার প্রস্তাব না মানায় তাকে একটি মিথ্যা চাদাবাজি মামলায় হয়রানী করে মাসুদ। মাসুদ বাদী হয়ে গত ০৫/১২/২০২১ ইং তারিখে একটি মামলা দ্বায়ের করে দৈনিক দ্যা ডেইলী নিই ষ্টার পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ ফিরোজের বিরুদ্ধে। মামলা নং ঃ ১২ , তারিখ ঃ ৫/১২/২১। উল্লেখ্য যে সাংবাদিকের পরিবার কেও হুমকী দেয় ফরিদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আমির হোসেন মাসুদ। এ বিষয়ে সাংবাদিকের স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে যাহার নং ঃ ১৭৭৪, তারিখ ২৫/৯/২০১৯ ইং।
এ বিষয়ে ধর্ষিতা কনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান আমি কোনো বিচার পায়নি। উল্টো মামলা করার কারনে মামলা তুলে নিতে কথিত দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী রুবেল- বরকত বাহিনী আমাকে দিয়ে মামলা তুলে নিতে কিছু স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এবং মামলা যেন তুলে নেই সেই বিষয়ে শাষিয়ে দেয়। আমি ধর্ষনের বিচার না পেয়ে সৃষ্টি কর্তার কাছে বিচার চেয়েছিলাম। যখন ফরিদপুরের স্বনামধণ্য পুলিশ সুপার সন্ত্রাসী রুবেল- বরকত বাহিনীকে গ্রেফতার করে তখন আমি আবার ন্যায় বিচার পেতে মামলার কাগজপত্র চালু করি। এ বিষয়ে আমার পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় দৈনিক দ্যা ডেইলী নিউ ষ্টার পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ ফিরোজ। তাই ফিরোজ কে শায়েস্থা করতে এবং ধর্ষণকারী নয়ন মিয়াকে বাঁচাতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় হয়রানী করে মাসুদ।আমি সত্য নিয়ে কাজ করছি। আমার ধর্ষনের বিচার চাই।
আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর ২০২১/ আর এম