নীলফামারীতে শাক দিয়ে মানচিত্র,জাতীয় পতাকা আর ১৬ ডিসেম্বর তৈরি 

0
438
প্রতিনিধি,ডিমলা(নীলফামারী):
দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নীলফামারীর ডিমলা  উপজেলার কৃষক আখতারুজ্জামান  মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিজের আট শতাংশ জমিতে সড়িষা,লালশাক,নাপাশাক,ধুনিয়া পাতা আর পালংশাক দিয়ে তৈরি করেছেন প্রিয় বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা আর বিজয়ের ১৬ই ডিসেম্বর। তার এই মানচিত্র দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম তার এই প্রদর্শনী দেখতে ভীড় করছে।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে আখতারুজ্জামানের জন্মই হয়নি। তবে ছোটবেলা থেকে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনেছেন, বড়দের কাছে এ নিয়ে নানা গল্প শুনেছেন। এভাবেই দেশের প্রতি জন্ম নেয় তার গভীর ভালোবাসা। দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন থেকেই উপজেলাল সদর ইউনিয়নের  শৈল্লারঘাট গ্রামে নিজের আট শতক জমিতে নাপাশাক আর ধুনিয়া পাতা দিয়ে জাতীয় পতকার সবুজ জমিন আর লালশাকে উদিত সূর্য অঙ্কিত করে তৈরি করেছেন ২০ ফুট বাই ১২ ফুট সাইজ জাতীয় পতাকা। সড়িষা শাক ৪০ ফুট বাই ২৫ ফুট সাইজ মানচিত্র এবং সড়িষা শাক ১৫ ফুটের বিজয় দিবসের “১৬ ডিসেম্বর ” তৈরি করেছেন। শাক দিয়ে অঙ্কিত এই শিল্পকর্ম নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর। কেননা ফসলি জমিতে সবজি দিয়ে এমন চিত্র অঙ্কন এলাকায় এই প্রথম। তাই প্রতিদিন শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ দেখতে আসছেন এসব শিল্পকর্ম।
আখতারুজ্জামান বলেন,আমি খুবই গরীব একজন কৃষক। নতুন প্রজন্মের কাছে দেশকে ভালবাসার কথা বলে যেতে চাই। আমি চাই, তারা যেন কোনো কিছুতে পিছিয়ে না পড়ে। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের  মর্যাদা ও স্বাধীনতার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা বাড়ুক এটাই আমার কাম‌্য।
উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী  বলেন, আমি আখতারুজ্জামানের সবজি দিয়ে অঙ্কিত শিল্পকর্ম ফেসবুকে দেখেছি।আমি সরজমিনে সেখানে যাবো। এটি দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল এবং অনন্য উদাহরণ। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮ ডিসেম্বর ২০২১/আর এম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here