প্রতিনিধি, বগুড়াঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দির কুতুবপুর ইউনিয়ন থেকে আসাদুজ্জামান আসাদ (২৬) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। সে বড়কুতুবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মোতাহার হোসেন ওরফে মকবুল সাকিদারের ছেলে। শনিবার সকালে চন্দনবাইশা তদন্ত কেন্দ্রর পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে কাউছার ইসলাম (১৩) কে গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কৌশলে মাইক্রোবাস যোগে একদল সন্ত্রাসী অপরহণ করে নিয়ে যায় গাবতলী উপজেলা পদ্মপাড়া গ্রাম এলাকায়। সন্ধার পর কিশোর কাউছার ইসলাম অপহরণকারীদের কাছ থেকে সু-কৌশলে সটকে পড়ে এবং চিৎকার করতে থাকে। কিশোর কাউছারের চিৎকারে পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং অপহরণের সংগে জড়িত আসাদুজ্জামান আসাদকে আটক করেন। এরপর খোঁজ পেয়ে কিশোর কাওছারকে বাবা-মা ও স্থানীয় মুরুব্বী রুমি খাঁ উদ্ধার করে তাকে বড়কুতুবপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। কিশোরের বাবা মহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ার পর আমি হন্যে হয়ে খুঁজছিলাম, কোথাও পাইনি। শুক্রবার সন্ধায় মোবাইল ফোনের মারফত খবর পেয়ে ছেলে কাওছার ও অপহরণের সাথে জড়িত আসাদকে আটক করা হয়েছে। অপহৃত কিশোর কাউছার ইসলাম বলে, মাইক্রোবাসে আসাদ ছাড়া আরো তিন জন বোরখা পরিহিত ছিলো। শুক্রবার সন্ধার পর মাদক সেবনে দিশেহারা হয়ে পড়লে সে তাদের কাছ থেকে কৌশলে সটকে পড়ে। স্থানীয় রুমি খাঁ, আব্দুল ওয়ারেছ ও শাহীন খাঁ বলেন, আটককৃত আসাদুজ্জামান আসাদ মাদক মামলার আসামী। তাছাড়াও এলাকায় চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী ছাড়াও সে সকল ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। কুতুবপুর গ্রামের আয়েশা আকতার শিল্পী সন্ত্রাসী আসাদকে আটক করার খবর পেয়ে থানায় আসেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত জুন মাসের ২ তারিখে ডিগ্রীতে পড়ুয়া আমার ছেলে আশিকুর রহমান শুভ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় আসাদুজ্জমান আসাদ জড়িত থাকতে পারে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি। সারিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮ ডিসেম্বর ২০২১/আর এম
