শীতের শুরুতেই পর্যটকে মুখরিত সোনাদিয়া দ্বীপ 

0
360
প্রতিনিধি, মহেশখালী 
দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীর দক্ষিণে অবস্থিত জীববৈচিত্র্যে ভরপুর অপর এক দ্বীপ সোনাদিয়া। কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত এই দ্বীপে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশি বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জানা যায়, প্রত্যেক শীতেই পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এই দ্বীপ। পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। মূলত তাঁবুতে রাত যাপন করতেই এখানে পর্যটকেরা ভীড় করে থাকে। স্থানীয় দর্শনার্থী আরাফাত, নাজমুল, ওয়াহেদ বলেন, ঘটিভাঙ্গা ঘাট থেকে বোটে করে সোনাদিয়া যাওয়ার পথে দুই পাশের সবুজ বেষ্টনী দেখতে ভাল লাগে। ছোট ছোট নৌকায় জেলেদের মাছ ধরা, প্যারাবনে মহিষের পালের হেঁটে যাওয়া এসব মুগ্ধ করে রাখে। উল্লেখ্য এই দ্বীপে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য এই দ্বীপের ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) বরাদ্দ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। বেজা সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের জন্য পর্যটনকেন্দ্র, আবাসিক এলাকা, আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে সরকারের কাছ থেকে এই জমি বরাদ্দ নিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে পর্যটন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির। সোনাদিয়া দ্বীপকে ঘিরে বিশাল একটি সমুদ্রসৈকত আছে, ফলে কক্সবাজারের চেয়েও সেটি পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী, সোনাদিয়া দ্বীপটি কক্সবাজার শহর থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সাগরগর্ভে অবস্থিত। তিন দিকে সমুদ্রসৈকতঘেরা দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার। সোনাদিয়া মূলত সাগরলতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া-নিসিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খালবিশিষ্ট প্যারাবন। এটি কক্সবাজারের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এই দ্বীপে ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে। সেখানকার সাগরের পানি কক্সবাজারের মতো ঘোলা নয়, গভীর এবং নীল। এই দ্বীপে প্রচুর লাল কাঁকড়া ও সামুদ্রিক পাখি রয়েছে।
এপি/এইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here