মো. মহিদ
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুট। কোন উৎসব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নাব্যতা আর ফেরি সংকটে সারা বছর সাধারণ যাত্রী ও চালকদের এ রুটে ভোগান্তি পোহাতে হয়। কোনভাবেই এ ভোগান্তির লাগাম টানা যাচ্ছে একটি পন্যবাহী ট্রাককে কমপক্ষে ৩ দিন ও একটি যাত্রীবাহী বাসকে কমপক্ষে ১ দিন অপেক্ষা করে ঘাট পার হতে হয়।যানজটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা।শুক্রবারও রাত ৩ টা থেকে ঘন কুয়াশার কারনে ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।মাঝ নদীতে ২১ টি যানবাহন নিয়ে রো রো ফেরী গোলাম মাওলা নোঙর করে থাকে। সাড়ে ৭ টায় ঘন কুয়াশা কেটে গেলে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হয়। শুক্রবার ছুটির দীর্ঘ এ সময়ে ঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারের বেশি যানবাহন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশায় দীর্ঘ সময় নৌ রুট বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। জরুরি যানবাহন, পরিবহন বাস ও ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো টার্মিনালে পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি বেড়েছে। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ রুটে ৮টি বড় ফেরি ও ৭টি ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ ঘাট কর্তপক্ষের অব্যাবস্থাপনার কারনে তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের বলছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি যানবাহন পারাপারের ফলে সাধারণ যাত্রীরা বেশী ভোগান্তিতে পড়ছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১/ দ ম দ