কুড়িগ্রামে খোলা আকাশের নীচে ৮৩টি পরিবার -পাশে জেলা প্রশাসন

0
279

জি এম রাশেদুল ইসলাম

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামে ভাঙন কবলিত ৮৩টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। গত ২০দিন ধরে খোলা আকাশে আশ্রয় নেয়া এসব পরিবারকে পূণর্বাসনের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এছাড়াও শনিবার সকালে তাদের হাতে শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হয়। জানা যায়, ব্রহ্মপূত্র নদের তীব্র ভাঙনে গত দুই মাসে দ্বীপচর বেষ্টিত পোড়ারচর গ্রামটির পঁচানব্বইভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখন সামান্য জায়গায় ঘরবাড়ি সড়িয়ে খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। এনিয়ে সংবাদকর্মীগণ প্রশাসনের নলেজে বিষয়টি নিয়ে আসলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, সদর ইউএনও রাসেদুল ইসলাম, সদর এসি ল্যান্ডসহ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান। সেখানে দুর্গতদের খোঁজখবর নেন। তাদেরকে শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেন। এসময় জেলা প্রশাসককে ওই গ্রামের হাসেম, কামরুল ও সৈয়দ জানান, আমাদের এখন নিজস্ব কোন জায়গা জমি নাই। সব ব্রহ্মপূত্রের পেটে চলে গেছে। এখন পাশেই সরকারি ৪শ’ বিঘা খাসজমি রয়েছে। আমরা সেখানে বাড়ি নিয়ে গেলে প্রবাবশালীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে দেয়। তারা আমাদেরকে আশ্রয় না দেয়ায় এখানে আমরা প্রায় ২০দিন ধরে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছি। ওই গ্রামের হামিদা, বানু ও মালতী জানান, আমাদের এখানে মসজিদে মাত্র একটি নলকুপ আছে। এছাড়া নলকুপ লেট্রিন নাই। বাধ্য হয়ে আমরা নদীর পানি খাচ্ছি, রান্না বান্না করছি ও এবং গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছি। এতে শিশুরা রোগ ব্যাধীসহ নানান সমস্যায় ভুগছে। আমাদেরকে দ্রুত স্থানান্তর করা হোক। ওই গ্রামের শরিফুল মাস্টার জানান, যাত্রাপুর মেইনল্যান্ড এলাকার ৪টি প্রভাবশালী পরিবার ওই ৪শ’ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছে। আমাদের জন্য সামান্য একটু জায়গাও ছেড়ে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি দেখার পর আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসেছি। সরেজমিনে তাদের সার্বিক অবস্থাটা দেখলাম। আজকে আপাতত তাদেরকে খাবার সামগ্রি ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হল। নদী ভাঙনে এরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পার্ম্ববর্তী এলাকায় একটি খাস চর রয়েছে সেখানে আমরা তাদেরকে সংস্থাপনের চেষ্টা করবো।

আলোকিত প্রতিদিনি/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here