সুমন খানঃ
স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অতীতেও সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রেক্ষাপটে এবারও সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা বহুদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই সবার আগে আলোচনায় আসে। ঝুঁকিপূর্ণ ও সংঘাতপ্রবণ ইউনিয়ন পরিষদগুলো চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে নির্বাচন সংঘাতমুক্ত রাখা সম্ভব হতো বলে অনেকেই মনে করেন। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গজারিয়া উপজেলায় সহিংস ঘটনা ঘটেই চলেছে। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সহিংসতা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটছে হানাহানি,মারামারি বাড়িঘরে হামলা সহ অত্যাচার ইত্যাদি। গত বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিন জন । এর পড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইমামপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আরও তিন জন আহত হয়।গজারিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা চালায় দলিয় সমর্থক কর্মীরা, এ হামলায় আহত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৫জন।বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনের মাঠ। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বহু সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।ইতোমধ্যে অনেকেই বলেছেন, গজারিয়া উপজেলার নির্বাচনী এলাকায়, নির্বাচন কমিশনের আরও জোরালো ভূমিকা পালন করা দরকার। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলসহ নেতাকর্মীদেরও আরও জোরালো ভূমিকার পালন করা জরুরি। সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল না হলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা তখনই পূরণ হতে পারে, যখন রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ঠ সকল অংশীজন স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর ২০২১/মওম
