একেএম ফারুক হোসাইন
যে মুহূর্তে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উদযাপন হচ্ছে দেশব্যপী ঠিক তখন নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে অবমাননা করা হয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,প্রায় এই ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়না। বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার রেকর্ড রয়েছে এই ইউনিয়ন পরিষদের।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি সচিব ফয়েজ আহমদ বিগত ২০১১ সাল থেকে একই ইউনিয়ন পরিষদে সচিব পদে বহাল এবং একই উপজেলার বাসিন্দা হওয়ার পতাকা অবমাননাসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন।এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফয়েজ আহমেদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান,পতাকা উত্তোলন আমার কাজ নয়।আর তাছাড়া এখানে সবসময় পতাকা উত্তোলন করা হয়। “কোন কারণে আজ হয়তো উত্তোলন করা হয়নি”।এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এ্যাড.আবুল বাশার বলেন,অফিসের কাজে আজ আমি পরিষদে যাইনি।যদি পতাকা উত্তোলন করা না হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয় উল্লেখ করে সচিত্র ছবি হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা চৈতী সর্ববিদ্যার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন,ব্যবস্থা গ্রহন করবেন । নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন,বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।জাতীয় পতাকা আইন অমান্যকারীদের শাস্তির বিধানে বলা আছে,জাতীয় পতাকার জন্য এই আইন ১৯৭২ সালে প্রণীত হলেও ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত এই আইন অমান্যকারীদের জন্য কোন শাস্তির বিধান ছিলো না। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সংসদে একটি নতুন বিল পাশ হয়।পাশ হওয়া নতুন বিলে আইন অমান্যকারীদের জন্য ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে আইনটি কিভাবে বাস্তবায়ন করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন?এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন এটি ।