আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে সোনার বাংলা গঠনের সোনার মানুষ হবে

0
272

নিজেস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের জন্য সোনার মানুষ হবে শিক্ষার্থীরা। এজন্য তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে পিতািমাতা ও শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটা সকল শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল ঘোষণা পাশাপাশি নতুন বছরের নতুন বই দেওয়া হচ্ছে। বই হাতে পাওয়ার আনন্দ আলাদা, নতুন বই মলাট লাগানো এবং তাতে নাম লেখা, এটা অন্য রকম অনুভূতি।তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে, তাদের উপযোগী করেও বই তৈরি করে দিচ্ছি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজেদের ভাষায় বই তৈরি করে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত আমরা তাদের ৫টি ভাষা পেয়েছি। সে ভাষায় বই করে দিয়েছি।সরকার প্রধান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে করোনায় ভার্চুয়াল শিক্ষা চালু রেখেছে। সবার হাতে বই দিয়ে ঘরে বসে শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর সুযোগ  করা হয়েছে। চার কোটির বেশি ছাত্রছাত্রীর হাতে ৩৪ কোটিরও বেশি বই ১ জানুয়ারি ২০২২ এরমধ্যে দেওয়া হবে। ২০১০ থেকে আমরা এ কার্যক্রম করে আসছি। বিশাল অংকের বই আমরা দিয়েছি।তিনি বলেন, অনলাইনে শিক্ষাটা চালু রাখতে হবে। করোনা কখনও কমছে, কখনও বাড়ছে। শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে যেনো অনলাইনে শিক্ষাটা চালু রাখা যায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করবো। সংসদটিভি সবসময় তারা ব্যবহার করতে পারবে। ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’, এ কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।তিনি আরও বলেন,  ভ্যাকছিন প্রথমে শিক্ষকদের দিয়েছি, এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি। সব শিক্ষার্থী যেনো টিকা দেয়, সে দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।এসময় অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালি পড়ালেই হবে না। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিতে অভিভাবকরা খেয়াল রাখবেন। শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও দুই লাখ শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। অমনোযোগী হলেও মারধর নয়, কেয়ার করতে হবে। এটাও একধরনের প্রতিবন্ধিতা। শহরে বাচ্চাদের নানা সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাচ্চারা টিভি মোবাইল ফোন নিয়ে সময় কাটায়। শহরে এককভাবে থাকতে গিয়ে বাচ্চাদের চাহিদায় নজর দিতে পারে না।  মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার শিক্ষা দিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারিগরি ভোকেশনাল ট্রেনিং দিচ্ছি। কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজকে এমনভাবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা আমার, যাতে কেউ কাউকো কাজের জন্য হুকুম দিতে না পারে। নিজের কাজ নিজে করে।অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ডিসেম্বর ২০২১/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here