করোনা চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন এস এ খালেক

করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির প্রবীণ নেতা এস এ খালেক। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসায় করোনামুক্ত হয়ে তার কল্যাণপুরের বাসায় ফিরেছেন মিরপুর থেকে পাঁচবার নির্বাচিত এই সাবেক সংসদ সদস্য।  রবিবার রাত আটটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়। পুর্বে একই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলাকালে তার হার্ট অ্যাটাক হলে দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল চিকিৎসকে এবং পরিবারের সদস্যদের। ১ জানুয়ারি শনিবার তার করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে তাকে হাসপাতালের কেবিনে স্থানান্তর করা হয় । চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার।  তিনি রবিবার রাতে বাসায় ফেরেন । অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এস এ খালেক বৃহত্তর মিরপুর থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ কয়েক বছর ধরে বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। সূত্র জানায়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এই রাজনীতিককে। তার হার্টে এখন মোট ১৩টি রিং পরানো রয়েছে। স্বনামখ্যাত এই রাজনীতিকের অসুস্থতার পর থেকে তার চিকিৎসার তদারক করছেন ছেলে এস এ সিদ্দিক সাজু। কখনো হাসপাতালে শয্যাপাশে থাকছেন, কখনো আবার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে ছুটছেন। হাসপাতালে তিনি ছাড়াও আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন তার মা ও স্ত্রী।একদিকে বাবার চিকিৎসা অন্যদিকে দলের সব কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছেন তরুণ রাজনীতিক সাজু।প্রবীণ রাজনীতিক এস এ খালেক রাজনীতির পাশাপাশি একজন বড় মাপের ব্যবসায়ীও। আবাসন খাত, পরিবহন সেক্টরসহ নানা খাতে তার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। সমাজসেবামূলক কাজেও এস এ খালেকের পরিবারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে, যার পুরোটাই এখন এস এ সিদ্দিক সাজু দেখভাল করছেন। প্রায় ৯৪ বছর বয়সী এস এ খালেক তার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে ছেলে এস এ সিদ্দিক সাজুকে  পুর্বেই সামনে নিয়ে আসেন।  একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে ধানের শীষের মনোনয়নও পান সাজু।জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে সাজু তার বাবার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কের কাজ করছেন। ২০০৮ সালের পর বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাল ধরেন সাজু। দলীয় কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে এরই মধ্যে ৭৬টি মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। এরপরও এলাকা ছেড়ে যাননি। বরং বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।