চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সাহাপুর মডেল একাডেমিতে চুরি

0
750
প্রতিনিধি,ফরিদগঞ্জ 
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সাহাপুর গ্রামে সাহাপুর মডেল একাডেমিতে।
৪জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেন। তিনি বলেন আমাদের বিদ্যালয়ের ভর্তির কার্যক্রম চালু রয়েছে আগামী ১০ তারিখ থেকে বিদ্যালয় ক্লাস আরম্ভ হবে। গত ৫তারিখ বুধবার আমাদের বিদ্যালয় বন্ধ ছিলো।  আমি প্রায় সময় বিদ্যালয় দেখাশুনা করি।  আমাদের বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ ব্যাতিত প্রত্যেকটি রুম তালা বদ্ধ করে বিদ্যালয়ের ভ্যান চালক তাই আমি এসে দেখে যাই। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার সময় আমি এবং আমার বন্ধু এই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সোহরাভ খান ও বোরহান সহ বিদ্যালয়ে মাঠে আসি তখন মাঠে খেলা চলছিলো। আমি বিদ্যালয় দেখতে গিয়ে দেখি অফিসকক্ষের এক পাশের টিন খোলা অবস্থায় আছে কিন্তু দরজায় তালা মারা। আমি দেখার সাথে সাথে সোহারাভ ও বোরহান কে ডাক দিয়ে নিয়ে আসি  এবং পরে তালা খুলে দেখি অফিসে থাকা আলমারি ও আমার টেবিলের ডয়ার  এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র  নিছে পড়ে আছে। আলমারির ভিতরে ২০২২ ইং শিক্ষাবর্ষের ভর্তিকৃত ৩০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি বাবদ  মোট ৩১৫০০ টাকা এবং বিদ্যালয়ের আদায়কৃত বেতন বাবদ১০০০০ টাকা সহ মোট ৪১৫০০ টাকা চুরি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন কে বা কাহারবা এঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানিনা তবে আমি এর সুষ্ঠু বিছার দাবী করছি আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি সহ সবাইকে বিষয়টি অবগত করেছি। আমরা প্রশাসনিক ভাবে এর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ বিষয় সোহারাভ ও বোরহান জানায় আমরা এই বিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা  গতকাল রাতে একসাথে বিদ্যালয় মাঠে আসি। তখন মাঠে সবাই খেলছিলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  আবুল হোসেন বিদ্যালয়ের ভিতরে যাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের ডেকে নেয় আমরা গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের টিন খোলা রয়েছে পরে আমরা তাকে অফিসকক্ষের দরজা খুলতে বলি। দরজা খুলে দেখা যায় সব এমোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।বিদ্যালয়ের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন আমাকে প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি জানিয়েছেন আমি দেখেছি তবে কে বা কাহারা একাজটি করে করেছে  আমাদের জানা নাই।  আমরা  সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনিক ভাবে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমরান হোসেন বলেন আমাকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বিষয়টি জানালে আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেখি সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারাই এ কাজটি করেছে , তারা বিবেকহীন মানুষ আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি এবং এলাকায় আমরা এর একটি তদন্ত কমিটি গটন করার মাধ্যমে  তদন্ত করবো কে বা কাহারা এঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকার স্থানীয় লোকজন বলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না আমরা এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/৬জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here