বগুড়ার গাবতলীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত

0
305

মাঈনুল হাছান মজনু

বগুড়ার গাবতলীর বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে ব্যালট বাক্স উপজেলা সদরে নেয়াতে বাধা দেয়ার সময় সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। তিনি এক মেম্বার প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন।৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের কথা স্বীকার করলেও প্রশাসন জানিয়েছে মরদেহগুলো তাদের হাতে এখনও আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এই চারজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন, খোকনের স্ত্রী (মেম্বার প্রার্থীর এজেন্ট) কুলসুম আক্তার, মকবুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মৃত ইফাত উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ। নিহত চারজনই কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা।   স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে ভোট শেষে গণনা না করে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স উপজেলা সদরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকেরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা কেন্দ্রেই ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করে।সহিংসতায় আহত তিনজন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন, কালাইহাটা গ্রামের  আব্দুল্লাহ, রাকিব   এবং শহিদউদ্দিন।এদের মধ্যে আব্দুল্লাহর সারা শরীরে ছররা গুলির আঘাতের দাগ। তিনি জানান, ৫টার দিকে ভোট গননা না করে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার কথা ওঠে। এ সময়  প্রার্থীর সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর কিছু পরেই হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। তখন বিজিবিরা গুলি শুরু করলে আমার গায়ে লাগে। আমি এরপর আর কিছু বলতে পারি না।নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, ‘ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে গণনা না করেই উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে চান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট্র মো. আসিফ আহম্মেদ। ঐ সময় আমার কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রেই ভোট গণনা করতে বলেন। কিন্তু এরপরেও ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ ব্যালট উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে চান ।’তিনি আরো বলেন, ‘এ সময় আমার কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেন। তাদের গুলিতে চারজন মারা যান। ওই চারজনই আমার কর্মী সমর্থক ছিলেন।’জানতে চাইলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বলেন, বালিয়াদীঘির কালাইহাটা কেন্দ্রে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। তাদের লাশ এখনও আমাদের হাতে আসেনি। লাশ সংগ্রহ করে আমরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাব।

আলোকিত প্রতিদিন/৬জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here