সেনেরখামার রহমানীয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

0
307

জি.এম রাশেদুল ইসলামঃ

কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনেরখামার রহমানীয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী। অভিযোগ ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির। এলাকাবাসী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম এবং দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছে।সরেজমিন গিয়ে এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউপির সেনের খামার রহমানীয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিকুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটিতে নানামুখী অনিয়ম এবং  দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করার লক্ষ্যে গোপনে একটি পকেট কমিটি গঠন করেছে। তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধি এবং দাতা সদস্যকে অন্ধকারে রেখে ছল চাতুরীর মাধ্যমে রেজুলেশন খাতায় আগাম স্বাক্ষর নিয়ে নেন। পরে সমাজ সেবক তকমা দিয়ে তার পছন্দের মোঃ আব্দুল জব্বারকে ম্যানেজিং কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করেন। স্থানীয়দের ভাষায় উড়ে এসে জুড়ে বসেন সমাজসেবক তকমাধারী মোঃ আঃ জব্বার । ২০২০ সালে কমিটি গঠনের শুরুতে আমরা প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্য বুঝতে না পারলেও ২৪/০৪/২০২০ইং তারিখে কমিটি অনুমোদনের কাগজ আমাদেরকে দেখালে আমরা তার অসৎ উদ্দেশ্য ও চালাকি বুঝতে পারি। এরপর স্থানীয় অভিভাবক এবং ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। ২৩ ডিসেম্বর’২০২১ইং তারিখ একটি স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন। তারা বলেন- কমিটির অন্য সদস্যকে না জানিয়ে সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তারা আরো বলেন- কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষ প্রান্তে এমতাবস্থায় তিনটি পদে কর্মচারী নিয়োগের পাঁয়তারাকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অর্থ আত্মসাতের অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করেন। অফিস সহায়ক, নৈশ্য প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কয়েকজনের নিকট থেকে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন বলেন- প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিকুল ইসলাম আমাদেরকে ইতিপূর্বেও অন্ধকারে রেখে অনিয়মের মাধ্যমে তার পক্ষের ব্যক্তিকে সভাপতি করেছিলেন। এবারেও ঐ ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে তিনটি পদে কর্মচারী নিয়োগের পায়তারা করছে। তিনি আরো বলেন- ঐ সময়ের কমিটি অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও আইনের আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতি আমরা নিলেও কোভিড-১৯ করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতির যোগসাজসে আবারো তিনটি পদে নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা করছে। এলাকাবাসী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ডাকযোগে অভিযোগ করেছে। যার তদন্ত হয়নি। সরেজমিনে মতামত জানতে প্রতিষ্ঠানে গেলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আলোকিত প্রতিদিন/৮জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here