আবু সায়েম,
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জের বারবাকিয়া বিটে সোনাইছড়ি মৌজার ২০০৩ সালের স্বল্পমেয়াদী বাগান এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ ফলবাগান করে জবরদখলের দায়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের নির্দেশে সহকারী বনসংরক্ষক পদুয়া একেএম আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হকের সার্বিক তত্বাবধানে অভিযান চালিয়ে ৫ একর বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়েছে।এতে করে সরকারী সম্পদ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৫ একর জমি। তবে ভূমিদস্যুদের কাউকে আটক করতে পারেনি।৮ই জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৪ টায় বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন বারবাকিয়া বিটের সোনাইছড়ি মৌজায় সহকারী বনসংরক্ষক পদুয়া একেএম আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিট কর্মকর্তা , বনকর্মী, উপকারভোগী এবং ভিলেজারদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভাবে নির্মাণাধীন ফল বাগান উচ্ছেদ করে জবরদখল মুক্ত করা হয়।বিষয়টি অবগত করেছেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক । তিনি বলেন, ২০০৩ সনের সোনাইছড়ি মৌজার ফল বাগান করে জবরদখলের বিষয়টি আমি ৩ থেকে ৪ দিন আগে জানতে পারি। পরবর্তীতে বিষয়টি সহকারী বনসংরক্ষক পদুয়া একেএম আজহারুল ইসলামের পরামর্শক্রমে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযান চালিয়ে জবরদখলমুক্ত করা হয়। সহকারী বনসংরক্ষক পদুয়া একেএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না,। যারা বন বিভাগের জমি দখল করে জবরদখল করছে তাদের আমরা কঠোর হাতে প্রতিরোধ করবো। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন এলাকা সমূহ ভূমি জবরদখল মুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে উচ্ছেদ করা হবে এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/৮জানুয়ারি২০২২/মওম