বিএনপি নেতারা সমাবেশে উস্কানি ‍মূলক বক্তব্য দিচ্ছেন -ওবায়দুল কাদের

0
320

 নিজেস্ব প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাস এবং সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছেন।বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে এ  কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেউ কেউ আরেকটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছেন, ডাইরেক্ট অ্যাকশনের হুমকি দিচ্ছেন। আসলে পায়ের নিচে মাটি নেই বলে এসব তাদের নিজেদের উপর ঝেঁকে বসা ভয় তাড়ানোর নির্জীব হুংকার।’তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত। যারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষক, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার ধারক এবং বাহক হিসেবে পরিচিত এবং যারা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক অপরাজনীতির উত্তরাধিকার, তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির যে কোনো ধরনের আস্ফালনকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা হবে। জনগণ আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র নির্মাণের চলমান সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ।সারাদেশে অত্যন্ত আনন্দমুখর  এবং উৎসবমুখর পরিবেশে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করছি যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনসমূহ সুষ্ঠু  এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং কমিশনের কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নিবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলসমূহের সংলাপ চলমান রয়েছে। স্টেকহোল্ডার হিসেবে একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে শক্তিশালী কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের মতামত এবং প্রস্তাবনা সংলাপে উপস্থাপন করা হবে। আমরা মনে করি, পারস্পরিক আলোচনা যে কোনো জটিল সমস্যার সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।’ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংঘাত, সহিংসতা, জনমতবিরোধী তৎপরতা গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ, পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র বিকাশের পথকে কুসুমিত করে। যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে না, তারা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে শ্রদ্ধাশীল নয়। তারা সংলাপে আস্থা রাখে না। বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়।’

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here