গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ লাভ জনক

0
301

প্রতিনিধি ,নীলফামারী

পেঁয়াজ সংকট নিয়ে হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখা গেল নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়।এখানে গ্রীষ্মকালীন আগাম পেঁয়াজ চাষে সফলতার আশায় বুক বেঁধেছেন চাষীরা।স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা এবং বাজার মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হবে চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম খরচে অধিক ফলন, বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ পাবেন এমনটাই আশা  চাষিদের।শীতের ফসল পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত ১০ বছর আগে উদ্ভাবিত হলেও এই জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ ছিলো না চাষীদের। দেশে পেঁয়াজের সংকট বাড়ায় কদর বাড়ে এ জাতের।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,গত বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় এ উপজেলায় ৭৫ বিঘা জমিতে নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়।সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক নুর রহমান জানান, সরকারি রাজস্ব খাতের কৃষি প্রণোদনার সার, বীজ, প্রশিক্ষণ, অর্থ সহায়তা পেয়ে আমি ১ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের এ পেঁয়াজ চাষ করেছি। এতে সেচ, কৃষিশ্রমিক বাদে পুরোটাই লাভ হবে। এক বিঘা জমিতে ফলন পাওয়া যাবে ৪০ থেকে ৫০ মন। সঠিক বাজারমূল্য পেলে খরচ বাদে আয় হবে ৫০ হাজার টাকার মত।রামডাঙ্গা গ্রামের কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ের কৃষি প্রণোদনা, কম পরিশ্রম  এবং লাভ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এ পেঁয়াজ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, আমদানিনির্ভর কমানোসহ দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে কৃষিবান্ধব সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপে গ্রহণ করেছেন। এ উপজেলায় ৭৫ বিঘা জমিতে এই গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য ৭৫ জন কৃষককে বিনামূল্যের বীজ, সার,পলিথিন,পরামর্শ প্রদান, পদ্ধতিগত প্রদর্শনী প্লট স্থাপন এবং অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।কৃষকদের সকলপ্রকার পরামর্শ ও কারিগর  সহযোগিতা করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা।
কম খরচে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন আগ্রহী এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here