১১ দফা না মানলে লকডাউন আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
326
মোঃ মহিদ
সবে মাত্র ১১ দফা স্বাস্থ্য গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। এই বিধি না মানলে সামনে লকডাউন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।তিনি শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান  মেশিন ও ডায়ালাইসিস ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্য এসব কথা বলেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, আমরা মাত্রই ১১ দফার একটি কঠোর বিধি নিষেধ দিয়েছি। আমরা জনসাধারণকে এই নির্দেশনা মানতে আহবান করব। এই নির্দেশনা মানলে দেশে লকডাউনের প্রয়োজন হবেনা। কারণ লকডাউন দিলে দেশের ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি। নির্দেশনা না মানলেই লকডাউন দেয়ার চিন্তা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, করোনা এখন উর্দ্ধমুখী, গতকাল ৪ হাজার ৪ শত মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১৩ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী সনান্ত হচ্ছে তা আশংকা জনক। আমি একটি সমীক্ষায় দেখেছি, আক্রান্ত যদি আড়াই হাজার হয়, সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ২- ৩ শতাধিক রোগী। এর মধ্যে ১ % রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন হচ্ছে বর্তমানে। এভাবে রোগী ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালে যায়গা হবে না।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রণ বিশ্ব জোড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও বাড়ছে। বিশ্ব গতকাল ( ১৪ জানুয়ারি)  ৩২ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয়েছে। ৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। তাদের অর্থনীতি পুঙ্গু অবস্থায় চলে যাচ্ছে। আমরা এটা চাই না। আমরা আমাদের অর্থনীতি ভাল রাখতে চাই। সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য গাইড লাইন না মানলে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হবে। পরিবারের ক্ষতি হবে। তাই আমাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।তিনি আরো বলেন, আন্ত:জাতিক বানিজ্য মেলায় সেখানে বেশীরভাগ লোকই মাস্ক ছাড়া, রাস্তা ঘাটে অনেক লোককেই দেখা যা মাস্ক ছাড়া এটা খুবই দু:খ জনক। তবে আশার আলো হল, এখন অনেক লোক মাস্ক পড়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে ৮ কোটি প্রথম ডোস টিকা দিয়ে ফেলছি। ২য় ডোজও পোনে ৬ কোটি দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সোয়া ১৪ কোটি টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের ৭০ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের ১ কোটি ২৫ লক্ষ টিকার প্রয়োজন পড়বে। আমরা মনে করি, এমাসেই সকল শিক্ষার্থী আসলে সেটা পূরন করা সম্বভ। টিকা নিলে মৃত্যুর ঝুকি কমে যাবে। তবে করোনা থেকে আক্রান্তের হাত থেকে বাচতে হলে অব্যশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে যাতে আমরা সংক্রমিত না হই।  এসময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রমজান আলী, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর উপজেলা আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here