বনবিভাগের পৃথক অভিযানে ডাম্পার সহ সংরক্ষিত বনভূমিতে ১৭টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

0
249
আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন উখিয়া রেঞ্জের সদর বিটের লম্বাঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি বনভূমিতে পাহাড়ের মাটি কাটার দায়ে  মার্টিভর্তি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। অপর অভিযানে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলমের নির্দেশে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় উখিয়া সদর বিটের কুতুপালং বাজার সংলগ্ন সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ দোকান স্থাপনের প্রাক্কালে ১৭ টি দোকান দখল মুক্ত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে করে সরকারি সম্পদ ভূমিদস্যুতের হাতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১ একর জমি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ ই জানুয়ারি সোমবার উখিয়া সদর বিটের লম্বাঘোনা এলাকায় সরকারি বনভূমিতে পাহাড় কাটার অপরাধে মাটির্ভতি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। অপর অভিযানে, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলমের নির্দেশে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী অভিযান চালিয়ে  উখিয়া সদর বিটের কুতুপালং বাজার সংলগ্ন এলাকায় রিজার্ভ ভূমিতে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের সময় ১৭ টি দোকান জবরদখল মুক্ত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ১ একর রিজার্ভ ভূমি উদ্ধার করা হয়। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে উখিয়া রেঞ্জ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে মাটিভর্তি ডাম্পার আটক করে রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। আরেক অভিযানে সংরক্ষিত বনভূমিতে ১৭ টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসামী এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রাত্যহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। আরো জানা যায়, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ এর ধোয়াপালং বিটের জংগল গোয়ালীপালং মৌজার পেঁচারদ্বীপ নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি বনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত দুইটি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার।কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম বলেন, পাহাড় কেটে  অবৈধ বালি এবং মাটি পাচারের বিরুদ্ধে বনবিভাগ সজাগ এবং সতর্ক রয়েছেন। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগের রাত্রিকালীন টহল জোরদার করা হয়েছে।  সরকারি বন ভূমি জবরদখলমুক্ত করতে বনখেকো এবং পাহাড় খেকোদের  চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বনজ সম্পদ রক্ষায় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান  জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৮ জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here