স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

0
257

চার বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অপহরণের পর স্কুল শিক্ষার্থী সোহাগ খানকে হত্যার দায়ে আসামি ইয়াসিন মাহমুদ শাহীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এই রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি শাহীনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আলামত গোপন করার দায়ে তাকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।

রায় ঘোষণার সময় শাহীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত সোহাগ মীরেরবাগ বালুচর ওরিয়েন্টাল স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তার বাবা ইদ্রীস খান বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে। আসামির ফাঁসি দ্রুত কার্যকর হবে।”

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহাগ স্কুল থেকে এসে তার মা সুফি বেগমের মোবাইল নিয়ে গেইম খেলতে বাসার বাইরে যায়। সে সময় তাকে অপরহরণ করে নিয়ে যান শাহীন। পরে সোহাগের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে সোহাগকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

সোহাগের পরিবার বিষয়টি র‌্যাবকে জানায়। র‌্যাব বিষয়টি থানাকে জানাতে বলে। এরই মাঝে আরও ২/৩ বার টাকা চেয়ে ফোন করেন শাহিন। পরে থানা পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে মীরেরবাগ বালুর মাঠ থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাসা থেকে হাত, নাক, মুখ স্কচটেপ দিয়ে বাধা সোহাগকে উদ্ধার করে পুলিশ। মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন সোহাগের বাবা। মামলাটি তদন্ত করে শাহিন ও তার বন্ধু সাজ্জাদ আহমেদ নিশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম।

এরপর সাজ্জাদকে অব্যাহতি দিয়ে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। বাদীপক্ষে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here