আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশের সভা করার কয়েক ঘন্টা পরেই তিনটি গরু চুরির

0
288
প্রতিনিধি ,মধুখালী ফরিদপুর :
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলায়  পুলিশের সভা করার কয়েক ঘন্টা পরেই সভা স্থানের অদূরে তিনটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের বসমসী গ্রামে।জানা যায়, রোববার সকালে মেগচামী  ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত থানা পুলিশের মেগচামী বিটের দায়িত্বরত এস আই প্রবীর বিশ্বাস এর উপস্থিতিতে আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখার জন্য মেগচামী মৃধা বাজারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।দুপুরে মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদে আরেকটি সভা করা হয়। এর কয়েক ঘন্টা পর রাতে মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকশত গজ দুরেই তিনটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। গরুগুলো বসমসী গ্রামের জয়নাল মীরের ছোট ছেলে মাহাবুব মীর মহার।সোমবার সরেজমিনে গেলে মেগচামী ইউনিয়নের বসমসী গ্রামের মাহবুব  মীর জানান, আমি তিনটি গরু গোয়ালঘরে প্রতিদিনের ন্যায় বেঁধে রাখি। রাতের কোন এক সময় চোরেরা তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোয়ালঘর হতে গরু বের করতে গিয়ে দেখতে পাই গরু নেই। সকালে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও কোন সন্ধান পায়নি। গরুর দাম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হবে। এ ব্যাপারে মধুখালী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে ও মধুখালী পৌসভা এলাকায় গরু চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। তিন মাসে চুরি হয়েছে ৪৩টি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রায় প্রতি রাতেই গরু চুরি কিংবা চুরির চেষ্টার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।জানা গেছে, এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত চোরদের ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা ছাড়া এলাকাবাসী ও পুলিশ কোনো গরু চোরকে ধরতে পারে নাই। একটি ইউনিয়নে ও মধুখালী পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম থেকে গত তিন মাসে ৪৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। নিরুপায় হয়ে অনেক পরিবার রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছেন।উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলী বলেন, গত এক সপ্তাহে তার নিজের দুটি এবং তার চাচা আবু বক্কর খানের একটিসহ মোট তিনটি গরু চুরি হয়েছে।স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থান ছাড়াও ইউনিয়নের লক্ষীনারায়ণপুর ও শ্রীরামপুর গ্রামে এ চুরির ঘটনা সবচেয়ে বেশি।গ্রামের বাসিন্দা মো. আজম খান বলেন, চলতি বছর জানুয়ারি প্রথম থেকে গত প্রায় তিন মাসের মধ্যে ওই দুটি গ্রাম থেকে মো. হাসমত মোল্লা ও মো. নিয়ামত হোসেনের পাঁচটি করে ১০টি, মধুখালী পৌরসভায় গোপালপুর অখিল দত্তের ২টি, গোন্দারদিয়া মো. লতিব মোল্যার ৩টি, আকবর মোল্যার ১টি আলমপুর মির্জা আব্দুল্লাহ মোর্শেদের বরগা দেওয়া ১টি, মধুপুরের গফুর খানের ১টি ও পুর্ব গাড়াখোলা ১টি গরুসহ অন্তত ২০ পরিবারের ৪৩টি গরু চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া গরুর বেশির ভাগই গাভি। কৃষকদের এতে অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।জানা গেছে, বিশেষত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও মধুখালী-গোপালদী আঞ্চলিক সড়কপথে ৫ চাকার  ট্রাক নিয়ে গরুগুলো চুরি করে পালিয়ে যায় চোরের দল। গত বুধবার রাতে মধুখালী-গোপালদী আঞ্চলিক সড়কের লক্ষীনারায়ণপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি ট্রাক যেতে দেখে এলাকাবাসী ধাওয়া দেয়। পরে ট্রাকের চালকসহ লোকজন ট্রাকটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে এলাকাবাসী ট্রাকটি মধুখালী থানায় হস্তান্তর করে। এছাড়া ৭ অথবা ৮ জানুয়ারি গোন্দারদিয়া আকবর মোল্যার গোহাল থেকে তিনটি গরুর একটি গরু চোরেরা ট্রাকে উঠালে তার ছেলে টের পেয়ে গেলে চোরেরা ১টি গরু নিয়ে ট্রাকনিয়ে পালিয়ে যায়। গরু চোর চক্রকে ধরার দাবি জানান এলাকাবাসী।মধুখালী থানা ইনচার্জ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, চোরচক্রের ব্যবহৃত একটি ট্রাক আটকের পর এর মালিকসহ চোরদের ধরতে জোরালোভাবে কাজ করা হচ্ছে। অচিরেই গরুচোরদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম  হবো আশা করি
আলোকিত প্রতিদিন/ ২১জানুয়ারি২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here