প্রতিনিধি ,টাঙ্গাইল
ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের আল-আমীনের বিরুদ্ধে। ১৬ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী ঘাটাইল উপজেলার ডাপনাপটলে আ: বাছেদের মেয়ে রিতু খাতুন বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে আদালতে নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন আইনেও মামলা করেছেন তিনি।নথি সূত্রে জানা যায়, বিবাদী আল-আমীন বাদী দু:সম্পর্কের বেয়াই। প্রায় আড়াই বছর পূর্বে বিবাদীর সাথে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের সাথে মুঠোফোনে নিয়মিত কথাবার্তা, বিভিন্নস্থানে দেখা-সাক্ষাত হয়। ৩/৩/২০২১ইং তারিখ সন্ধ্যায় বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিবাদীর বাড়িতে নিয়ে অন্যান্য বিবাদীদের সহযোগিতায় বাদীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে আল-আমীন। বাদী বিবাদীকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে বিবাদী আল-আমীন বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। পরে ২/৪/২০২১ইং তারিখে বাদীকে আবারো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ীতে নিয়ে রাতে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বাদী বিয়ের জন্য বিবাদীকে বার বার তাগিদ দিতে থাকলে বিবাদীর ওই মুহুর্তে টাকা নেই বলে জানায় এবং বিয়ের কথা বলে বাদীর নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফের তাকে বাড়িতে তুলতে গরিমসি করতে থাকে। বাদী অন্য কোন উপায় না পেয়ে আদালতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।ভূক্তভোগী বলেন, বিবাদী আল-আমীন তার দায়েরকৃত মামলায় আদালত থেকে ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জামিনে নেয়। জামিনের পর ওই মামলা থেকে বাঁচতে গত ১৬ জানুয়ারি আমার সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানায় সে আমাকে মেনে নেবে এবং বিয়ে করবে। সেইসাথে আমাকে জানায় আমি যে মামলা করেছি তা তুলে নিতে হবে। সম্পর্ক মেনে নেয়ার কথা বলায় আমি তার বাড়িতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আল-আমীন আমাকে জানায় ‘আমরা তোকে মেনে নেবোনা, তুই কি করবি’ বলে আল-আমীনের বড় ভাই মালেক (৫০), তার ছেলে ইয়ামিন প্রামানিক, ভাই খালেক (৪৫), মোশারফ (৩৫), মোশারফের স্ত্রী সুরভী (২৪), বোন সুবর্ণা (৩০) রিতু খাতুনকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধর করে। পরে আমার কাছে থাকা বেতনের ৫০ হাজার টাকা এবং মোবাইল লুফে নিয়ে মাটিকাটা এলাকায় বোনের বাড়ির কাছে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে সেখান থেকে আমার বোন এবং তার স্বজনরা মিলে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, আমি নারী বৈষম্য নিয়ে কাজ করি অথচ আজ আমি কারোর কোন সহযোগিতায় পাচ্ছি না। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীও জানান তিনি।অভিযুক্ত আল-আমীনকে মুঠোফোনে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল ওহাব বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। তার যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ জানুয়ারি২০২২/মওম