মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে ইয়াবা ব্যবসা গ্রেপ্তার- ১

মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা, সুকৌশলে ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক এবং এডাপ্টারের ভিতর লুকিয়ে বহন করা ১০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে আটক।র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, র্দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাস যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ রাত ৮.৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন এলাকায় পাঁকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাসকে তল্লাশী করে আসামী মোঃ নাছিবুর রহামন (৪৩), পিতা-মৃত শফিউদ্দিন, সাং-গোয়াল চামুর, থানা-ফরিদপুর সদর, জেলা-ফরিদপুরকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার হেফাজতে থাকা ট্রলিব্যাগের ভিতরে ল্যাপটপ, ল্যাপটপের চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৩,৬৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ের আড়ালে ল্যাপটপ, ল্যাপটপের চার্জার এবং পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে বিশেষ কৌশলে কক্সবাজার থেকে আনায়ন করে পরবর্তীতে তা ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে।  মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা।গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।