মুক্তাগাছায় ডাক্তার ও সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৩ জন সহ করোনা আক্রান্ত ২৮৬

0
350

রিপন সারওয়ার (মুক্তাগাছা)

বৈশিক মহামারী (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসের ৩য় ধাপে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৩ সহ ২৮৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৮৬ জন, হোম আইসোলেশনে আছেন ২৬৫ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ২০ জন এবং মৃত্যু ১ জন। তন্মধ্যে, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১২ জন, ডাক্তার ১ জন, অন্যান্য ৪ জন।আরও জানাযায়, গত ৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখ হতে এ ০১/০২/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসে সংক্রমন RT-PCR এ ৬৪৩০ জনকে পরীক্ষা করা হয় এবং RT-PCR   এ ২৭৪০ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯১৯ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ১৬১৭ জন। হোম আইসোলেশনে ২৬৫ জন এবং মৃত্যু ৩৭ জন।মুক্তাগাছা উপজেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, ০১/০২/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌরসভায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮৭ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৮৬৫ জন, হোম আইসোলেশনে ১১৫ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৭ জন।১নং দুল্লা ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৪১ জন, হোম আইসোলেশনে ০৩ জন এবং মৃতুবরণ করেছেন ০২ জন।২নং বড়গ্রাম ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮২ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৭৬ জন, হোম আইসোলেশনে ০৫ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০১ জন।৩নং তারাটি ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩৭ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১০৯ জন, হোম আইসোলেশনে ২৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৫ জন।৪নং কুমারগাতা ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩৭ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১০৯ জন, হোম আইসোলেশনে ২৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৫ জন।৫নং বাঁশাটি ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২৮ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১০৯ জন, হোম আইসোলেশনে ১৬ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৩ জন।৬নং মানকোন ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩৩ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১০৯ জন, হোম আইসোলেশনে ২২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০২ জন।৭নং ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৫৭ জন, হোম আইসোলেশনে ০৮ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৪ জন।৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৯ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ২৫ জন, হোম আইসোলেশনে ০২ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০২ জন।৯নং কাশিমপুর ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৪৮ জন, হোম আইসোলেশনে ১৫ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৫ জন।১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৭৪ জন, হোম আইসোলেশনে ২০ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ০৫ জন।৪,৫১,৩৫৭ জন জনসংখ্যার মধ্যে কোভিড-১৯ টিকার নিবন্ধন করেছেন ২,২৯,০৮০ জন। তন্যেধ্য, ১ম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯৭৩৬৩ জন এবং ২য় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১,২৯,৯৭৯ জন।এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর প্রতিনিধিকে উপজেলা স্বাস্থ্য  এবংপরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরও দায়িত্ব  এবংকর্তব্যের জন্য রোগীর কাছাকাছি আমাদের যেতেই হচ্ছে। আর এ সংস্পর্শের কারনেই আমাদের স্টাফ নার্সরা আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের সকল কার্য পরিচালনার জন্য ডাক্তার এবং স্টাফ নার্সদের এখন দ্বিগুন কাজ করতে হচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here