মোহাম্মদ জুবাইর চট্টগ্রাম
নগরবাসীর দাবি পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুক চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন আশপাশ। ফুটপাতে নিরাপদে হাঁটা ও চলাচলের স্বার্থে ফুটপাতে অবস্থানকারী হকার কোন মতেই সমুচিত নয়। গাড়ি ও পথচারীদের মুক্তমনে স্বাধীনভাবে চলতে ফিরতে এইসব ফুটপাতে অবস্থানকারী হকাররা যেন নগরবাসীর পথের কাঁটা।নিরাপদ চলাচলেঝুঁকি নিরাপত্তাহীনতাসহ নানাবিধ দুর্ভোগ ভোগান্তি পোহাতে হয়।কিন্তু আজ একদিনে জন্য হলেও রেলওয়ে স্টেশন আশপাশে হকার উচ্ছেদ পরিছন্ন। ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার রেলমন্ত্রীর আগমনে একদিনের জন্য হঠাৎ পরিষ্কার-আবর্জনাহীন দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রাম রেলওয়ের নতুন-পুরাতন স্টেশনের আশপাশ এলাকাসহ সিআরবি ও অন্যান্য প্রোগ্রাম সংশ্লিষ্ট এলাকার। নগর জুড়ে প্রায় দেখা যায় অপরিকল্পিত অপরিছন্ন আর অসাস্থ্যকর পরিবেশ। আর সেটা যাদি হয় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশে ও স্টেশন প্রবেশমুখে তবে সেটা হবে সবদিকেই প্রশ্নবিদ্ধ অনিয়ম অন্তর্ভুক্ত। উন্নয়শীল দেশের মানুষ হিসাবে রেলসেবার মান নিয়ে অনাস্থা যাত্রীঅসুষ্টি সহ তমনি রেলযাত্রী পথচারীদের জন্যও শোভনীয় নয়।খোলামেলা উন্মুক্ত পরিবেশ ও মুক্তবাতাসের বাতাস ও অনাদি সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন। কিন্তু স্টেশনের আশপাশে প্রায়ই অপরিষ্কার-অপরিছন্ন আবর্জনা দেখা যায়। মেইনরোড সংলগ্ন স্টেশনের প্রবেশ মুখসহ আশপাশের ফুটপাতে অবাধে হকারদের দখলে ভরপুর থাকে রেলসেবা গ্রহণকারীযাত্রী ও পথচারী বিঘ্নিত হয়। প্রতিদিনের মতো থাকা সেই ভাসমান দোকানগুলো নেই। রেলস্টেশন এলাকার আশপাশে হকার-ভাসমান দোকান না থাকায় মনে হচ্ছে আসলেই সৌন্দর্যের নগরী চট্টগ্রাম এটি।এসব কর্মকাণ্ড দেখেই মনে হলো কেউ হয়তো আসছেন,না হলে এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার কথা না। এ কথাগুলো বলেন একাধিক পথচারী মানুষসহ সংশ্লিষ্টরা।আজ শনিবার চট্টগ্রামে তিনটি পৃথক প্রোগ্রামকে ঘিরে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন পরিদর্শনে আসার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় রয়েছেন রেলওয়ে প্রশাসন। মন্ত্রীর সঙ্গে রেলওয়ে সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন।তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী সকালে চট্টগ্রাম এসেই তিনটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন।রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) পূর্বাঞ্চলের কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন নয়, রেলের যে কোনো বিষয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে আরএনবির সদস্যরা মাঠে আছেন। তবে প্রতিটি স্টেশনই সুন্দর থাকুক, তা সবাই প্রত্যাশা করেন। তবে প্রয়োজনীয় লোকবল আরও বাড়লে কাজের গতিও বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম
