মোস্তাফিজার রহমান(জাহাঙ্গীর)
স্বামী মারা গেছে তিন বছর আগে। অসহায় মেয়ের বসবাসের জন্য মাত্র তিন শতাংশ জমি দেন তার বাবা। বাবার দেয়া সেই জমিতে পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় একটি বসতঘর ও একটি রান্না ঘর তুলে একমাত্র শিশু পুত্র ও বিবাহযোগ্য কন্যাকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন সুনীতি বালা(৫২)। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাত নং ওয়ার্ডের চন্দ্রখানা (নদীর পাড়) গ্রামের বাসিন্দা মৃত কান্দুরা বর্মণের মেয়ে।পিতািএবং স্বামী মারা যাওয়ার পর নানা প্রতিকূলতায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দিন যাপনের পাশাপাশি বিবাহ যোগ্য মেয়েকে পাত্রস্থ করার ভাবনায় পড়তে হয় অসহায় বিধবা সুনীতি বালাকে। অবশেষে কয়েকদিন আগে নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় খুঁজে পাওয়া যায় মেয়ের যোগ্য পাত্র। উভয় পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করা হয় আশীর্বাদের দিন। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু মেয়ের আশির্বাদের দিনেই মাঘের কড়াল ঝরে উড়ে গেছে বিধবা সুনীতি বালার একমাত্র বসতঘরের চাল। ভেস্তে গেছে মেয়ের আশীর্বাদ। বসতঘর না থাকায় ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম বিয়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝরের আঘাতে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে সুনীতি বালার বসতঘরের চাল। ঘরের চাল না থাকায় ছেলেমেয়েকে নিয়ে রান্নাঘরে গাদাগাদি করে দিনাতিপাত করছেন সুনীতি বালা। তিনি বলেন, হঠাৎ ঝরে আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র বসতঘরটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। ছেলেমেয়েকে নিয়ে রান্না ঘরে খুব কস্ট করে দিনরাত কাটাচ্ছি। ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন আমার মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গারও উপক্রম। আমি ঘরটি মেরামতের জন্য সরকারি সহায়তা কামনা করছি। স্থানীয় আব্দুর রহমান বাদল বলেন, সুনীতি বালা একজন অসহায় বিধবা মানুষ। সে অন্যের বাড়িতে বাড়িতে ঝিঁ এর কাজ করে তার পরিবারের খরচ জোগায়। হঠাৎ তার ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সে ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুব কস্টে আছে।তার ঘরটি মেরামতের জন্য সাহায্য সহযোগিতার দরকার। সুনীতি বালার বিষয়ে ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের সাত নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য একরামুল হক বলেন, সুনীতি বালা একজন অসহায় বিধবা মানুষ। ঝরে তার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরফলে তার মেয়ের বিয়েতেও প্রভাব পড়েছে। বিয়েটা যাতে ভেঙ্গে না যায় সেজন্য আমি বরপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। পাশাপাশি সুনীতি বালা যাতে ঘর মেরামতের জন্য সরকারি সহায়তা পায় সে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম