শফিউল মন্ডল
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়ক। সামন্য বৃষ্টিতে এ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বছরের বেশিরভাগ সময়ই পানি জমে থাকে সড়কে। ফলে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পথ চলাচল করতে হচ্ছে হাজারো মানুষ কে।সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য ২০২০ সালের নতুন চৌপথী থেকে কেল্লাবাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে পাশে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ নালা নির্মাণ করা হলেও সেটি কোন কাজে আসছে না। পথচারী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়াই নালা নির্মাণ করায় সড়কে এখন জলাবদ্ধতা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়কের থেকে নালাটি উচু হওয়ায় ময়লা আবর্জনার স্তুপে ভরে গেছে। নালা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির হলে সড়কে পানি জমে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কাঁদা পানি জমে একাকার হয়ে গেছে। ঘোলাপানি মাড়িয়ে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছেন। পথচারীরা কাপড় গুটিয়ে জুতা হাতেও চলচল করেছেন। কথা হয় সড়কের পাশের ষ্টেশনারী ব্যবসায়ী মোতালেব আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ভাই কি বলবো আর দুঃখের কথা। এটা সড়ক নোয়ায় ডোবা। সারা বছর এখানে পানি জমে থাকে। বৃষ্টির দিন সড়কের পানি দোকানে ঢুকে যায়। নালায় জমে থাকা পানিও খুব র্দুগন্ধ ছড়ায়। ওই সড়কে রিকশা চালক আ:রহিম বলেন,কী আর কন(বলবো)বা ,এই নালায় হইছে হামার (আমাদের) বড় জ্বালা। যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন তিন চারটা করি ভ্যান খালোত পরি উল্টি যায়। যাত্রী ভিজি যায়, ভ্যানেরও ক্ষতি হয়।হামরা (আমরা)শুনেছি সড়কটা নিয়া পেপার পত্রিকাত নেকানেকি(লেখালেখি) হওচে তাও কায়ও সড়কটা উচা বানাওচে না। সড়কটা উচা হইলে এটে পানি জমিল না হয়। জুতা হাতে নিয়ে লুঙ্গি হাটুতে তুলে সড়ক হেটে বাজারে যাচ্ছিলেন রহিমাপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়া। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বছর পর বছর সরকার টাকা দিয়া সড়কটা ঠিক করে। কিন্তু কামের কাম কিছুই হয় না। যেই লাউ সেই কদু থাকে। এ সড়কের পাশেই কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ। জানতে চাইলে কুর্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজালুল হক বলেন, চার মাস আগে নালাটি ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে। আবারো ময়লা জমে গেছে। সড়কে পানি জমে থাকার বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে আলোচনা করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে। জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ হায়দার জামান বলেন, সড়কে জলাবদ্ধতার বিষয়টি জানা আছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আছে। খুব শিগগিরই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম