আব্দুল সাত্তার
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সেবাপ্রত্যাশী নগরবাসীর দুর্ভোগ এবং ভোগান্তি কমাতে ম্যানুয়েল পদ্ধতি থেকে অনলাইনের আওতায় গৃহকর এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়ন করতে এখন থেকে ঘরে বসেই নগরবাসী চসিকের উন্নত সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর হবে এবং কাজের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আরবান পাবলিক এণ্ড এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রণীত ই-রেভিনিউ সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, অর্থ এবং সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইসমাইল, কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, সচিব খালেদ মাহমুদ আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।মেয়র আরো বলেন, অটোমেশন কার্যক্রমের আওতায় আসায় যে কেউ বাড়িতে বসে পৌরকর পরিশোধ করতে পারবেন এবং করদাতা তার কর সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য ঘরে বসেই জানতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে কর আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আছে সেগুলোও দূরীভূত হবে। মেয়র গৃহকর বৃদ্ধিকরণ প্রসঙ্গে বলেন, কোন ধরণের গৃহকর বাড়ানো হবে না শুধুমাত্র এর আওতা বাড়ানো হবে অর্থাৎ যদি আগে ভবন ২তলা থাকে এখন তা ৩ বা তার অধিক হয় তাহলে সেই বর্ধিত অংশটুকুরই কর নেয়া হবে। তিনি নগরবাসীকে কর নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম