কোটি টাকার স্বপ্ন দেখা হলোনা নিষিদ্ধ ভিওআইপির ব্যবসায়ী আটক

0
313
মোহাম্মদ জুবাইর 
 চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়ায় আবাসিক ভবনে অভিযান পরিচালনা করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বিপুল পরিমান অবৈধ ভিওআইপি (VOIP) সরঞ্জামাদিসহ মূলহোতা কে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস্য উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার ইত্যাদি ওটিটির মতো উন্নত প্রযুক্তি এখন দেশে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হলেও কমেনি ভিওআইপির মাধ্যমে সাধারণ ফোনে কল আদান-প্রদান। ফলে বিদেশ থেকে টেলিফোন কল আসা ও যাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্খিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রিপোর্টে  দেশে বর্তমানে বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আসছে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় দুই কোটি মিনিট। এর মধ্যে ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ মিনিট কল আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাবিউ) দিয়ে, আর বাকিটা আসছে বেসরকারি আইজিডাবিউ অপারেটর ফোরাম (আইওএফ)-এর মাধ্যমে। অন্যদিকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মিনিট কল এখনো ভিওআইপির অবৈধ কারবারিদের মাধ্যমেই আসছে। ভিওআইপি ব্যাবসা বন্ধে র‍্যাবসারাদেশব্যাপী অনেকগুলো সফল অভিযান চালিয়ে থাকে। যার ফলে প্রায়ই বন্ধ হয় এই ভিওআইপি ব্যাবসা, দেশে বৃদ্ধি পায় রাজস্ব। র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম সর্বশেষ ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালালে সেটি বন্ধ থাকলেও বর্তমানে সেটি আবার শুরু হয়েছে।র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকালিয়া থানাধীন আবু জাফর রোড ময়দার মিল ইয়ার আলী খান মসজিদের সামনে কাশেম ম্যানশন এর ৫ম তলা ভবনের ৫ম তলার দক্ষিন পূর্ব কক্ষে জনৈক ভিওআইপি ব্যাবসায়ী অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যাবসা করে এবং ভিওআইপি সরঞ্জমাদি হেফাজতে রেখেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ ০৪.০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল এবং বিটিআরসির কর্মকর্তাসহ উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী বদরুদ্দোজা (৩৬)কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞসাবাদে আসামীর দেখানো  এবং শনাক্ত মতে তার হেফাজত থাকা অবৈধ ভিওআইপি ব্যাবসার কাজে ব্যবহৃত ১। অত্যাধুনিক ভিওআইপি ব্যবসার তিনটি মেশিন, ২। চারটি ল্যাপটপ, ৩। একটি ট্যাব, ৪। আটটি রাউটার, ৫। ১৩৫০ টি মোবাইল সিম, ৬। এক ব্যাগ সিম কার্ডের খালি প্যাকেট, ৭। একটি সিসি ক্যামেরা, ৮। একটি আইপিএস মেশিন, ৯। দুইটি কী বোর্ড  এবং চারটি মাউস, ১০। একটি চার্জার এবংচারটি মাল্টিপ্লাগ, ১১। একটি পেইনড্রাইভ  এবং পাঁচটি মডেম, ১২। একটি আইপিএস ব্যাটারী এবং ১৩। চারটি ল্যাপটপের এয়ারকুলার, উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ ভিওআইপির আনুমানিক মূল্য ৫৫ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় এই ব্যবসার সাথে তার আপন ছোট ভাই নুরুল হুদা প্রকাশ রনি জড়িত। তারা দুই ভাই মিলে ২০০৪ সাল থেকে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here