নুরুন্নবী নুরু
রংপুরের পীরগাছায় চাচা শ্বশুড়ের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে না পেরে ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) নামে এক যুবক। লাইভে সে স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর এবং ভায়রা এমদাদুল হককে দায়ী করেন। ১২ফেব্রুয়ারি দুপুরে রনি বিষপান করে রবিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নিজ তাজ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার একমাত্র সন্তান। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে চানচাল্য সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) বিগত ৪ বছর পূর্বে ভালোবেশে বিয়ে করেন পার্শ্ববতী পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে। বিয়ের পর তাদের আবু শাকিব রিশাদ নামে দুই বছরের সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি কিছু দিন থেকে রনির নিকট দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা এবং শ্বশুর-শ্বশুড়ীর ভরণ-পোষণ দাবি করে আসছিল তার স্ত্রী। এ নিয়ে কাউকে কিছু না বলে গত বুধবার পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামের চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী সাথী। শনিবার সকালে তাকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ইমরোজ হোসেন রনি। লাইভে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে না বলে তিন দিন আগে তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। আমি আনতে গেলে তারা আমার নিকট দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা দাবি করে।আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর এবং ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। এ বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সাথে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ওই যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। লাশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার কথা জানিনা। বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম