প্রতিনিধি ,নীলফামারী
নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা কৃষক লীগের অনুষ্ঠিতব্য ত্রিবার্ষিক সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।১৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে ডিমলা উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা কৃষকলীগের সম্মেলন শুরু হয়। সমম্মেলনের ১ম পর্ব শেষে বিকেল ৩ টা৩০মিনিটে খাবার বিরতি ঘোষণা হয়।এসময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনিরুজ্জামান তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে বাজারের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে যান।অভিযোগ উঠেছে, প্রার্থীদের অনুপস্থিতিতে জেলা নেতাদের মনোপুত প্রার্থীদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক করার উদ্দেশে কেন্দ্রীয় নেতারা হটাৎ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাবনা করার জন্য ঘোষণা দেন। এতে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী অনুপস্থিত থাকায় সভাপতি পদে দরিদুল ইসলাম দুলাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা নেতাদের মনোপুত আব্দুল রাজ্জাকের একক নাম প্রস্তাবনা করা হলে। উপস্থিত সকল কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর পক্ষে কয়েক মিনিট সময় প্রার্থনা করলে তাদেরকে কোন প্রকার সময় না দিয়ে। জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা স্বজনপ্রীতি করে প্রস্তাবিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে কমিটি ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করলে সম্মেলনে উপস্থিত সকলে তার প্রতিবাদ করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়।এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ লুৎফুল বারি, জাহাঙ্গীর আলম ও নীলফামারী জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ইয়াহিয়া আবিদ, সদস্য সচিব এ্যাডঃ আজাহারুল ইসলাম পরিস্থিতি বে-গতিক দেখে কৌশলে দ্রত সম্মেলন মঞ্চ ত্যাগ করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় ডিমলা থানায় আশ্রয় নেয়। পরবর্তিতে কমিটি ঘোষণা না করেই থানা পুলিশের সহযোগিতায় ডিমলা থেকে নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।ডিমলা উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক দরিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতারা প্রতিদ্বন্দি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর নাম না নেওয়ায় সম্মেলন কক্ষে হট্রগোল বাধে। তবে মারামারি এবং লাঞ্চিতের কোন ঘটনা ঘটেনি। গয়াবাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের ১ম পর্ব শেষে খাওয়ার বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ঠিক সেই সময় প্রতিদ্বন্দি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনিরুজ্জামান আজাদ এর অনুপস্থিতে খাওয়ার বিরতির সময় শেষ না হতেই কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতারা সভাপতি সম্পাদক পদে প্রস্তাবনার ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। তবে সেখানে মারামারি বা কাউকে লাঞ্চিতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান , ডিমলা উপজেলা কৃষকলীগের সম্মেলনে হট্রগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই।কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তিতে তাদের পুলিশি নিরাপত্তায় পরবর্তীতে গন্তব্যে যেতে সাহায্য করি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম