মজিবুর রহমান
নরসিংদীর বেলাবতে ঘরে ঢুকে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার ৫ম শ্রেনির ছাত্রী ওই শিশুকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার থানায় অভিযুক্ত মেরাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়ার ৪ দিন পর ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মেরাজ এবং তার পরিবার পলাতক রয়েছে।গত বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দেওয়ানের চর গাংকুলপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মেরাজ বেলাব উপজেলার দেওয়ানের চর গাংকুলপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বুধবার রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে বখাটে মেরাজ মিয়া জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়াি ঐ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত মেরাজ পালিয়ে যায়। ঘটনার পর রাতেই পরিবারের লোকজন মেরাজকে অভিযুক্ত করে শিশুকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দেন বেলাব থানায়। অভিযোগ দেয়ার চার দিনেও মামলা গ্রহণ করেনি বেলাব থানা পুলিশ। মামলা না নিয়ে সাক্ষী নিয়ে আসার জন্য বলে কালক্ষেপন করা হয় । পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ারও কোন উদ্যোগ।পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে রবিবার বিকালে নির্যাতনের শিকার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ঐ শিশুটিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। শিশুটি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। এ ঘটনার পর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত মেরাজ এবং তার পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ এবং মামলা গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন পলাশের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে তথ্য না দিয়ে ফোন কেটে এড়িয়ে যান। সোমবার বিকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের পর এ ঘটনায় আজ সোমবার বিকালে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। তারা যেভাবে অভিযোগ দিয়েছেন সেভাবে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মেরাজ মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগের সাথে পুলিশের মামলার মিল নেই জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা। তিনি বলেন, চারদিন পর মামলা নেয়া হলেও আমরা যেভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি সেভাবে মামলা নেয়া হয়নি। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। আমার মেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম