মোঃ মহিদ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। আর তার মধ্যে প্রতি বছর ২০ লাখ যুবক শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। এত যুবককে সরকারের পক্ষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না। তাই শিক্ষিত যুবকদের রাজধানীমুখী না হয়ে প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়। নিজ জেলা অথবা ঘরে বসেই প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ইউরোপ আমেরিকার মতো মাল্টি ন্যাশনাল বড় বড় দেশের কোম্পানিগুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। এরই লক্ষে এই প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা।
লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্য ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।বৃহস্পতিবার দুপুর চারটার দিকে জেলার ঘিওর উপজেলার পঞ্চ রাস্তার মোড়ে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাজীবন বিদেশে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করতে চাইনা। আমরা চাই আমাদের দেশকে প্রযুক্তি নির্ভর করতে। দেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ যুবক ফ্রিলান্সার কাজ করছে এবং বাৎসরিক সাতশত মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এখন তাদের আর বিদেশে যেতে হচ্ছে না কাজের জন্য। আমরা তাদের জন্য সল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করছি যাতেকরে একেক জনকে একটি উদ্যোগতা তৈরি করা যায়।বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে বলেও জানান তিনি।এসময়, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ঘিওর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নীনা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম