ফুলবাড়ীতে শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে জমজমাট ফুলের অস্থায়ী বাজার

0
273
মোস্তাফিজার রহমান(জাহাঙ্গীর)

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা  দিবসকে কেন্দ্র করে জমজমাট ফুল ও ফুলের ডালার অস্থায়ী বাজার জমে উঠেছে। ২১ /০২/২০২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিতে উপজেলা সদরের কাছারি মাঠের শহীদ মিনার চত্বরের বটতলায় এ বাজার গড়ে ওঠে।  ফুলসহ ডালা তৈরির অন্যান্য সামগ্রী বাইরে থেকে নিয়ে এসে তোড়া এবং ডালা তৈরি করে বিক্রি করছেন।ছোট, মাঝারি এবং বড় সাইজের প্রতিটি ডালা ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা জানান, বিভিন্ন সাইজের একেকটি ডালা তৈরি করতে খরচ হয় ৪৫০ টাকা থেকে ৮০০টাকা। এতে তারা মজুরি বাদে প্রায় ২৫০টাকা থেকে থেকে ৫০০ টাকা লাভ করছেন। এদিকে ক্রেতারা জানান,নিজের এলাকায় সহজেই এসব পেয়ে তারাও খুশি ।তারা বলছেন, এখন আর ফুল কিনতে দূর-দূরান্তে যেতে হচ্ছে না। এতে তেমন যাতায়াত করতে যেমন হচ্ছে না তেমনি পছন্দমতো ফুল কিনতে পারছেন। দাম   যা নেয় নিক। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন টাকা-পয়সা দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না। তাই তারা সীমার মধ্যে থেকেই এসমস্ত ডালা কিনেছেন।ফুলবাড়ী সদরের চন্দ্রখানা গ্ৰামের ফুল ব্যবসায়ী মজিবর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার সহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ফুলের চাষ হয় না। অনেকের নার্সারি থাকলেও সেখানে ফুল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে যশোর থেকে ফুল নিয়ে আসি। এতে তাদের প্রতিটি ফুল ১ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। কেনা ফুল গুলোর মধ্যে রয়েছে গাদা, গোলাপ ও গ্লাডুয়েলাস। এছাড়াও ডালা তৈরি করতে ফর্ম এবং অন্যান্য সামগ্রী বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। তিনি এপর্যন্ত ১০০টি ফুলের ডালা তৈরি করেছেন। তার দোকানে পাঁচজন ডালা তৈরীর কারিগর রয়েছে। এরা ফুলের মালা,ডালা তৈরি করছেন। এর জন্য প্রতীক কর্মচারীকে কাজ ভেদে ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনি ২০টি ডালা বিক্রি করতে পেরেছেন। তিনি জানান ১৭থেকে ১৮ বছর যাবত তিনি নার্সারি ব্যবসা করেন।শামীম নার্সারির মালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি 8 বছর থেকে ফুল ও ডালা তৈরির ব্যবসা করেন। কার দোকানে চারজন কারিগর রয়েছেন। একজন কারিগর দিনে ২৫ টা পর্যন্ত ফুলের ডালা তৈরি করতে পারে। তিনি এখন পর্যন্ত ৩৫ টি ডালা তৈরি করেছেন। তিনি আরো জানান এখানে বিক্রি বেশ ভালো। আশা করছি ভালই লাভ হবে।ভাই ভাই নার্সারিতে কাজ করতে আসা কারিগর তহিদুল ইসলাম বলেন তিনি এর আগে বগুড়ার একটি ফুলের দোকানে কাজ করেছেন ।তার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট সদর এর মহেন্দ্রনগরে। ডাক পেয়ে তিনি এখানে কাজ করতে এসেছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

 

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here