মোঃআলী হোসেন
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের অন্যান্য আসামির সাথে প্রীজন ভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হল, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের দাউদ মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা(২৪), বরিশালের উজিরপুর থানার কুরুলিয়া গ্রামের মৃত পিটার বাড়ৈ এর ছেলে লিটন বাড়ৈ(৪৫), এবং লিটন বাড়ৈর ছেলে ইম্মানুয়েল প্রান্ত বাড়ৈ(২৭)।পুলিশ জানায়, জাতীয় সংসদের লোগো এবং প্যাড ব্যবহার করে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরী করে ইতিমধ্যে তিনজন চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। এদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী হেজবুল্লাহ। তিনি এবং রাসেল মোল্লা একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। রাসেল মোল্লা হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দেন । হেজবুল্লাহর সাথে দেখা হলে রাসেল বলেন, তার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চাকরি হয়েছে। হেজবুল্লাহকেও চাকরি নিয়ে দিতে চান তিনি। তাকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। তার সাথে ফাঁদে পা দেয় মোঃ মাসুদ এবং বিপ্লব হোসেন।তাদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা চায় প্রতারক চক্রটি। পরে বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। তবে জাতীয় সংসদের প্যাড এবং লোগো সম্বলিত ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করলেও সন্দেহ হয় ভুক্তভোগীদের। পরে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(ইন্টেলিজেন্স) মোঃ জামাল শিকদার বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম