মোহাম্মদ জুবাইর
উপ সচিবের হুমকি-ধামকি জোর-জুলুমের অতিষ্ঠ প্রতিবেশী সুরিত রঞ্জন রায়, হরি শংকর মন্ডল, সুমন চক্রবর্তী,মাকুড়ি রায়, বাবুল রায়, গনেশ বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম, নয়ন। মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা অপব্যবহারকারী উপ-সচিবের বিরুদ্ধে অসহায় নিরুপায় প্রতিবেশীর নানা অভিযোগ করেও মুক্তি এবং রক্ষা পায়নি ভুক্তভোগীরা। ফলাফলে উল্টো আপন ভাই এবং প্রতিবেশীকে দিয়ে ৬টি মামলা দিয়েছে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিত্যনতুন ফাঁদে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের গোলাপ চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেশীর সম্পত্তি জোর করে দখল,হুমকি, নিজের ক্ষমতা আর সাথে থাকা অস্ত্র ভয়-ভীতি দেখানোসহ মামলা দিয়ে হয়রানি নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।এমনকি প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছে ওই উপ-সচিব। অভিযোগ উঠেছে,উপ-সচিবের ভয়ে মুখ পর্যন্ত খুলতে পারছেনা বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকাবাসীর। ওই অত্র এলাকার কেউই মুখ খুললে হুমকি-ধামকি নিরুপায় নিস্তব্ধ করে রাখেন এলাকাবাসীকে উপ সচিব।
অভিযোগ উঠেছে উপ-সচিব গোলাপ চন্দ্র দাশ উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গ্রামের প্রতিবেশী মনিন্দ চন্দ্র রায়ের ছেলে সুরিত রায়,লক্ষন মন্ডলের ছেলে হরি শংকর মন্ডলের জায়গা দখল করে প্রচীর নির্মাণ করেছে। এতে প্রতিবাদ করলে আরও মামলা দিয়ে সবাইকে পুলিশ দিয়ে আটক করে জেল হাজতের পাঠানোর হুমকি ধামকি সহ নানাবিধ হয়রানি ও আগ্রাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ভুক্তভোগী সুরিত রায় আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,জোর করে আমার ঘর ভেঙ্গে প্রাচীর নির্মাণ করেছে। আমার স্ত্রী মিঠু রানী প্রতিবাদ করলে তাকে একাধিকবার মারধর করে। আমি বেশ কিছু দিন আগে থানায় অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাই নাই। উপ সচিব উল্টো আমার আপন ভাই ও প্রতিবেশীকে দিয়ে বরং আমার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দিয়েছে । উপ-সচিবের হাত থেকে বাঁচতে মুক্তি চাই। কখন মিলবে আমাদের মুক্তি।হরি শংকর মন্ডল আমাদের প্রতিনিধিকে আরো জানান ,আমার ৩ফুট জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেছে। নুর ইসলাম নামের এক দিনমজুর শ্রমিক লক্ষ্মীকান্ত রায় ইট আনতে গেলে পিস্তলের ভয় দেখান উপ সচিব।আমাদের প্রতিনিধিকে আরেক ভুক্তভোগী বলেন প্রতিবেশী সুমন ঠাকুরের কাছে উপসচিবের ভালো-মন্দ জন্য সুমন ঠাকুরকে ফোন করলে সে বলেন আমি সরাসরি দেখা করে কথা বলবো ফোনালাপে নয় ।উপ-সচিব গোলাপ চন্দ্র দাশকে ফোনে সত্যত জানতে চাইলে আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন,এসব মিথ্যা বানোয়াট কথা, আমার জায়গায় আামি প্রাচীর দিয়েছি। গ্রামে একজন আরেকজনের সাথে দলাদলি করে তখন আামাকে ফোন দেয়। আর সুরিত মন্ডল আামার বাড়ির ৩০ ফুট জায়গা দখল করে রেখেছিল আামি এসপির কাছে আভিযোগ দিয়ে উৎখাত করেছি । আামি কাউকে কোন হুমকি দিইনি ।আর কারো বিরোদ্ধে কোন মামলাও করিনি।সুরিতের ভাই সুরিতের বিরোদ্ধে মামলা করেছে। এখানে আমার কি করনীয় তাদের এটা একান্তই ব্যক্তিগত পারিবারিক ব্যাপার।বাসাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সচিব সাহেব লোকটা ভাল না।মানুষের সাথে জুলুম করে। বিভিন্ন লোকের জায়গা জোর জবস্তি দখলে নেয়। কথায় কথায় এলাকার লোকদের পিস্তল ভয় দেখায়। এ বিষয়ে অত্র এলাকার একাধিক লোক আমার কাছে অভিযোগ করেছে।আমি বর্তমানে ব্যস্ত আাছি। চেয়ারম্যান আরো বলেন এলাকাবাসীর সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করবো।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,আমি এই থানায় আসছি কিছুদিন হয়।এর মধ্যে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্হা অবশ্যই নিব।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম