ভাঙ্গুড়ায় সরিষার বাম্পার ফলন,ইরি বোরো রোপণে ব্যস্ত কৃষকপল্লী

0
309
 মোঃ নুরুজ্জামান সবুজ 
সরকারি প্রণোদনায় সার এবং উন্নত জাতের বীজ  পেয়ে চলতি মৌসুমে সরিষা মাড়াই করে ঘরে তুলে  ইরি বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে  হাসি ফুটে উঠেছে। সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন বুনছেন  আগাম চাষাবাদে কৃষকরা। এ দিকে আগামী মৌসুমে সরিষার চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। কয়েক বছর ধরে ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত উচ্চ উচ্চ ফলন শীল (উফশী) জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্ধুূদ্ধ করে কৃষি বিভাগ। উন্নত জাতের সরিষা ৫৫ থেকে ৬০ দিন পর ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ইরি বোরো ধান আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌর এলাকায় ৫ হাজার ৩শ’৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়। সেখানে আবাদ হয়েছে ৫হাজার ৫শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২শ’১০ হেক্টর বেশি। সরিষা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ প্রণোদনা  হিসেবে চাষিদের উন্নত জাতের বীজ, ডিএপি (ডাই-অ্যামেনিয়াম ফসফেট) ও এম ও (পিমিউরেট অন পটাশ)  সরবরাহ করেছেন। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পূর্ব রামনগর গ্রামের  তায়জাল হোসেন সহ    কয়েকজন চাষী বলেন, আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করা হয়। এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করতে মোট খরচ হয় ২ হাজার ৫শ’ (২৫০০) টাকা থেকে ৩ হাজার (৩০০০) টাকার মত। প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৮ মন ফলন পাওয়া যায়। জমিতে সরিষা চাষের সময় সার প্রয়োগ করলে বোরো রোপনের জন্য আলাদাভাবে সার দিতে হয় না। ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে  পরামর্শ এবং পরিচর্যার বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শরিষার মতো  ইরিবোরোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য।  কৃষকরা শরিষা উৎপাদনের পরে দিগন্তজোড়া মাঠকে মাঠ ইরি আর বোরো রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। চোখে মুখে তাদের সোনালী ধানের আগাম স্বপ্ন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here