কুড়িগ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

0
389

ডা: জি এম রাশেদুল ইসলাম

কুড়িগ্রামের ৪ উপজেলার কয়েকটি এলাকায় প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টির তান্ডব ঘটেছে।আর এ ঝড়ে সদ্য বেড়ে ওঠা ভুট্টা খেত,গম এবং আলু-শাকসবজিসহ বেশ কয়েকটি ফসলের হানি ঘটেছে।সেই সাথে সদ্য মুকুল আসা অনেক এলাকায় আম গাছের মুকুল ঝড়ে পড়া এবং গাছ উপড়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে।অন্যদিকে,বিভিন্ন স্থাপনা ও ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়ে কেউকেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।শুক্রবার সন্ধ্যের আগে আধাঘন্টা ঝড়ে জেলার সদর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গাামারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব দেখা যায়।জেলা সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি দোকানপাট এবং ঘরবাড়ি ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।কাঁঠালবাড়ী বাজারের কম্পিউটার দোকান ব্যবসায়ী রাসেল জানান, কালবৈশাখীর তান্ডবে তার দোকানের চাল উড়ে গেছে। এছাড়াও বাজারের পাশে সাইফুর নামে এক ব্যক্তির মুকুলসহ আমগাছ ভেঙে পড়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের খড়িবাড়ি এলাকার কৃষক সালাম মিয়া জানান,হঠাৎ ঝড় এবং শিলা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার অনেকের গম,ভুট্টা এবং শাকসবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।শিলের পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল কিছুক্ষণেই সাদা সাদা বরফে ঢেকে যায় নেওয়াশী-খড়িবাড়ি সড়ক। নজিবুল হক জানান,শুক্রবার বিকেলে দমকা বাতাসের সাথে শিলাবৃষ্টি প্রায় ২০-২৫ মিনিট ছিল। আমাদের এলাকায় দুই একজনের ছোট ঘর উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অনেক গাছপালা। ঝরে গেছে আমার তিনটি আমগাছের মুকুল।কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো:আব্দুর রশিদ জানান,শিলাবৃষ্টির কারনে ক্ষয়ক্ষতির খবর তেমন একটা পাইনি।তবে জেলার নাগেশ্বরী,ভূরুঙ্গামারী,ফুলবাড়ী ও সদর এ ৪ উপজেলায় ঝড়ে আবাদের গম ৬০ হেক্টর,ভুট্টা ৪৫ হেক্টর শাকসবজি ২৫ হেক্টর জমির ফসল কিছুটা হেলে গেছে।এছাড়াও আমের যেসব মুকুল এসেছে সেগুলোর কিছুকিছু ক্ষতি হতে পারে বলে আশংকা করেন তিনি।রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান,শুক্রবার ঝড় এবং শিলাবৃষ্টি হলেও শনিবারও যেকোন সময় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here