কুড়িগ্রামে নতুন জাতের কুল চাষে কৃষি উদ্যোক্তা আতাউরের ভাগ্যবদল

0
300

রাশেদুজ্জামান তাওহীদ

বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে বাহারী রংয়ের কুল। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে ডালপালা। সিঁদূর রাঙানো অবিকল ছোট সাইজের আপেলের মতো দেখতে এই কুলের নাম বলসুন্দরী, এছাড়াও একই বাগানে রয়েছে মিষ্টি স্বাদের কাশ্মীরি আপেল কুল। চোখ জুড়ানো এই দৃশ্য কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের। এই গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা সাবেক সেনা সদস্য আতাউর রহমান ১ (এক) একর জমিতে কুল চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন। তার বাগানে রয়েছে মোট ৫৫০ টি কুল গাছ, এর মধ্যে বলসুন্দরী ৩০০টি এবং কাশ্মীরি আপেল কুল রয়েছে ২৫০ টি। তার কুল বাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছে উপজেলার অনেক কৃষক। প্রতিদিন ভীড় করছে নানা দর্শনার্থীও। এই উপজেলায় তিনিই প্রথম বানিজ্যিকভাবে কুল চাষ শুরু করেন। গতবছর সাতক্ষীরা থেকে চারা সংগ্রহ করে বাগানে রোপন করে চলতি বছরেই তিনি সাফল্যের মুখ দেখছেন। বাগানে ফলন ভালো হওয়ায় এবছর তিনি ৩৩০ মন কুল সংগ্রহের আশা করছেন। পাইকারী বাজারে প্রতিমন কুলের দাম ২৪০০ শত টাকা। সে হিসেবে তিনি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা কুল বিক্রির আশা করছেন। কুল বিক্রিতে তেমন কোন ঝামেলা নেই। দরদাম ঠিক হলে পাইকাররা বাগানে এসেই ফল সংগ্রহ করেন। এছাড়াও তার বাগান পরিচর্যার জন্য মাসিক বেতনে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ জন শ্রমিকের। পোকা এবং পাখির আক্রমণ থেকে বাগান রক্ষায় তিনি চারপাশে মশারী জালের বেড়া দিয়েছেন। এ বিষয়ে আতাউর জানান, তিনি বাগানে বিষ মুক্ত কুল উৎপাদন করছেন। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি আগামীতে বাগানের পরিসর বৃদ্ধির পাশাপাশি কুল নার্সারী তৈরী করতে চান।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মিঞা জানান, বর্তমানে অনেক কৃষকদের কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে। দাম ভালো, স্বাদে মিষ্টি এবং বীজ ছোট হওয়ায় কুড়িগ্রামের সৌখিন চাষীদের কাছে কুল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।কুল ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ এর অন্যতম উৎস। পাকা কুল শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও কুলের চাটনি এবং জেলি সমধিক জনপ্রিয় হওয়ায় আমাদের অর্থনীতিতে কুল চাষ ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here