রাশেদুজ্জামান তাওহীদ
উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ চীনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে। এই এলাকায় প্রায় পাঁচ হেক্টর জায়গাজুড়ে কৃষকেরা চীনা বাদামের চাষ করেছেন। বর্তমানে রবি মৌসুমের শেষ সময়ে চাষীরা জমি থেকে বাদাম উত্তোলন, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই পলিবেস্টিত বেলে মাটিতে বীজ রোপণ করে এই এলাকার চাষীরা ভালো ফলন পেয়েছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর দাম কম হওয়ায় চাষীরা কিছুটা হতাশ। অন্যান্য তেল বীজ জাতীয় ফসলের পাশাপাশি চীনা বাদামের চাহিদা রয়েছে স্থানীয় বাজারে। পাইকারী দরে প্রতি মণ কাঁচা চীনা বাদাম ১২ থেকে ১৫ শত টাকায় আর শুকনো ও বীজ চীনা বাদাম বিক্রি হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায়। কৃষক আকবর আলী জানান, চরাঞ্চলের পলিবেস্টিত বেলে দো-আঁশ মাটি এই বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হলেও তারা সরকারী সহযোগিতা পান না। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা রবি মৌসুমে ব্যাপক সফলতার সাথে চীনা বাদাম চাষ করতে পারবেন ।কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, চীনা বাদাম চাষে জমিতে তেমন কোন সেচের প্রয়োজন নেই,তবে ফলন ভালো পেতে জৈব ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন পড়ে। রবি মৌসুমের কার্তিক মাসে বীজ রোপণ করে ১২০-১৫০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। মাটি ভালো হলে হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় দেড় থেকে দুই মেট্রিক টন পর্যন্ত হতে পারে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মিঞা জানান, চীনা বাদাম উচ্চ পুষ্টিমানের, কোলেস্টেরল মুক্ত,বাদামের তেল হার্টের রোগীদের জন্য অতিশয় উপকারী। রবি ও খরিপ উভয় মৌসুমে চীনা বাদামের চাষ করা যায় । কুড়িগ্রামের যেসব এলাকায় চরাঞ্চল রয়েছে সেসব এলাকায় রবি মৌসুমে ব্যাপক হারে বাদাম চাষ করা যেতে পারে ।কুড়িগ্রামের চরাঞ্চেেলর চাষীদের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা দিয়ে এ ফসলকে অধিকতর গুরুত্ব সহকারে চাষাবাদ করা হলে কুড়িগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক মন্দা দূর করতে বাদাম চাষ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০২২/ মওম